প্রতিবেদন : ভোটমুখী বিজেপিতে উন্নয়নের নামে আবার ভাঁওতাবাজি বিজেপি সরকারের। ডবল ইঞ্জিনের গুঁতোয় সরকারের লাগানো কল থেকে জলের বদলে বেরোচ্ছে হাওয়া! অথচ প্রচারে বলা হয়েছে, জল জীবন মিশনের লক্ষ্য প্রতিটি বাড়িতে কল থেকে বিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহ করা। এটি নাকি বিজেপির ডাবল ইঞ্জিন সরকারের অন্যতম বড় পরিকল্পনার একটি।
মধ্যপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন ঘোষণার আগে সাতনা জেলায় বিজেপির মন্ত্রী রামখেলাওন প্যাটেল এবং সাংসদ গণেশ সিং তাড়াহুড়ো করে সরকারি জল-প্রকল্পের ফিতে কাটেন। প্রকল্পের উদ্বোধন করা হলেও বাস্তব পরিস্থিতি বেহাল। উদ্বোধনের নামে ভাঁওতাবাজি স্পষ্ট। কারণ গ্রামের কল থেকে এখনও জলের বদলে শুধু হাওয়া বের হচ্ছে।
আরও পড়ুন-ইউপি’র ডবল ইঞ্জিন, জীবন্ত পোড়ানো হল নাবালিকাকে
রাজ্যের মন্ত্রী রামখেলাওন এবং সাংসদ গণেশ সিং যে প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন, সেই প্রকল্প সম্পর্কে দাবি করা হচ্ছে যে এই জল রামনগরের মার্কণ্ডেয় ঘাট থেকে রামনগর, মাইহার, অমরপাটন এবং উচেরার প্রায় ১০১৯টি গ্রামে পৌঁছে যাবে। প্রাথমিকভাবে মাইহারের সুকওয়ারি গ্রাম এবং রামনগরের সুলাখমান গ্রামে জল সরবরাহের জন্য একটি পরীক্ষা চালানো হয়েছিল, কিন্তু এখনও এই গ্রামে একফোঁটা জলও পাওয়া যায় না। ১৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ের এই প্রকল্পে ১ হাজারেরও বেশি গ্রামে জল সরবরাহ করার কথা বলা হয়। যার জন্য প্রতিটি বাড়িতে কল বসানো এবং পাইপলাইন বিছানোর কাজ বছরের পর বছর চললেও প্রকল্পের কাজ শেষ হয়নি। বিভাগীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২১ সালেই এই প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও আজ পর্যন্ত কাজ শেষ হয়নি। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, গত ৭ অক্টোবর এই প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়েছিল, এবং একমাত্র সেইদিনই কলে জল দেখা গিয়েছিল। তারপর থেকে আর কলে জল আসেনি।
আরও পড়ুন-রেড রোডে আছড়ে পড়ল জনস্রোত, মেগা শোয়ে ভাসল তিলোত্তমা
৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত এই প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গ্রামবাসীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেছিলে, ওইদিন থেকেই ৩৫টি জলাধারে জল প্রবাহিত হবে, কিন্তু বাস্তবে ঘটেছে এর উল্টো। লক্ষণীয়, সরকার প্রতিটি বাড়িতে জল সরবরাহ করার জন্য ট্যাপ ওয়াটার প্রকল্প শুরু করেছিল, যার জন্য মাইহার জেলার অধীনে মার্কণ্ডেয় ঘাট থেকে একটি টানেল তৈরি করা হয়েছিল, যেখান থেকে জল সরবরাহের কথা ছিল। গ্রামের লোকজন এখন জানাচ্ছেন, ট্যাপ ওয়াটার স্কিমের আওতায় গ্রামে পাইপলাইন বিছিয়ে কল বসানো হলেও আজও জল আনতে ২ কিলোমিটার দূরে যেতে হয়। জলহীন কল ব্যবহার করা হয় গবাদি পশু বেঁধে রাখার জন্য। ভোটের আগে জল-প্রকল্পের এই নমুনা দেখে রাজ্য সরকারকে বিঁধছেন বিরোধীরাও।