প্রতিবেদন : একদিকে রাজ্যের যে কোনও ছোটোখাটো ঘটনাতেই সিবিআই তদন্তের দাবিতে সোচ্চার বিজেপি, অন্যদিকে বিরোধী দলের নেতাদের হেনস্থা করতে মোদি সরকার সিবিআইকে কাজে লাগাচ্ছে বলে অভিযোগ৷ এই অবস্থায় খোদ সিবিআইয়ের কর্মদক্ষতা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিল নেতাই গণহত্যার তদন্ত সংক্রান্ত দলিল।
আরও পড়ুন-প্রতিহিংসার রাজনীতি, ওয়ারেন্ট ছাড়াই ফের গ্রেফতার হলেন সাকেত গোখলে
২০১১ সালের নেতাইয়ের গণহত্যার ঘটনা বাংলা তথা সারা দেশকে বাকরুদ্ধ করে দিয়েছিল। হাইকোর্টের নির্দেশে নেতাই মামলার তদন্তে নামে সিবিআই। নেতাই গণহত্যা কাণ্ডে সাক্ষী ছিলেন মোট ১১৫ জন। এদের মধ্যে দীর্ঘ ১১ বছরে মাত্র ২৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করতে পেরেছে সিবিআই। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার মুখ্যসচেতক সুখেন্দুশেখর রায়ের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং–ই এই কথা জানিয়েছেন। নেতাই গণহত্যা মামলায় সুদীর্ঘ ১১ বছরে এক চতুর্থাংশ সাক্ষীরও সাক্ষ্যগ্রহণ করতে না পারায় সিবিআইয়ের কর্মদক্ষতা নিয়েই প্রশ্ন তুলল তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর নেতাইয়ের গণহত্যার তদন্ত সম্পর্কে মোদি সরকারের কাছে বিস্তারিত জানতে চেয়েছিলেন। প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি লালগড় থানার নেতাই গ্রামে গুলি চালানোর ঘটনায় ৯ জন গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়েছিল। এই মামলায় এখনও পর্যন্ত মোট ২০ জনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। এই গণহত্যার ঘটনায় সাক্ষী ছিলেন ১১৫ জন। ১১ বছরে যার মধ্যে মাত্র ২৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করতে পেরেছে সিবিআই।
আরও পড়ুন-কুকুর হত্যা মামলায় ২১ বছরের কারাদণ্ড
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর জবাব প্রসঙ্গে সুখেন্দুশেখর বলেন, ১১ বছরে সিবিআই ১১৫ জন সাক্ষীর মধ্যে মাত্র ২৬ জন সাক্ষীর বয়ান নথিভুক্ত করতে পেরেছে। তদন্তের এই গতিপ্রকৃতি দেখেই বোঝা যাচ্ছে সিবিআই কত করিৎকর্মা! আসলে মোদি জমানায় সিবিআই ও অন্যান্য কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির একমাত্র কাজ হল বিরোধী নেতাদের হেনস্থা করা। বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপিকে ক্ষমতায় আনার জন্য অবিজেপি সরকার ভাঙার কাজ করতেই ব্যস্ত সিবিআই ও ইডি। সেজন্য নেতাইয়ের মতো নৃশংস গণহত্যার কিনারাও দীর্ঘ ১১ বছরে হয় না। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতেই নেতাই মামলার তদন্তের অগ্রগতি জানতে চেয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট।