ঐতিহ্যবাহী বিসর্জনের প্রতীক্ষায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের টাকি

Must read

সংবাদদাতা, টাকি : টাকির (Taki- immersion) ঐতিহ্যবাহী বিসর্জনের অপেক্ষায় প্রহর গোনা শুরু হয়ে গেল বোধনের আগেই। শুরু হয়ে গেল কাউন্টডাউন। ইছামতীর বুকে দুই বাংলার বিসর্জন আগামী মঙ্গলবার। বুধবার দুই দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে নদীবক্ষে ফ্লাগ মিটিং হয়। বৃহস্পতিবার বসিরহাট পুলিশ জেলার পুলিশ আধিকারিক, প্রশাসন, টাকির পুরপ্রধান-সহ সকলের উপস্থিতিতে আবারও আলোচনা হয়। সেখানেই ঠিক হয় বিসর্জনের দিন অর্থাৎ আগামী মঙ্গলবার পুলিশ প্রশাসনের উপিস্থিতিতে নিয়ম মেনে বিসর্জন হবে প্রতিমার।
প্রসঙ্গত, বহুল প্রচারিত বসিরহাট মহাকুমার ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের টাকির প্রতিমা নিরঞ্জন দেখতে ইতিমধ্যে বিদেশি পর্যটকরা ভিড় জমাতে শুরু করেছেন। দুই বাংলার প্রতিমা বিসর্জন দেখতে হোটেলগুলোয় ইতিমধ্যে বুকিং শেষ হয়ে গেছে। তিলধারণের জায়গা নেই। বুধবার ইছামতী নদীবক্ষে জিরো পয়েন্টে বসিরহাট পুলিশ জেলা, টাকি পুরসভার উদ্যোগে বিএসএফ, বিজিবি যৌথ ফ্লাগ মিটিং হয়ে গেছে। সেখানে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে, দুই বাংলার প্রতিমা নিরঞ্জন হবে ২৪ তারিখে। টাকি পুরসভার চেয়ারম্যান সোমনাথ মুখোপাধ্যায়, ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক গাজি, হাসনাবাদ এসডিপিও দেবরাজ ঘোষ, আইসি কৃষ্ণেন্দু ঘোষ, বিএসএফের পক্ষ থেকে ৮৫ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের কমান্ডিং অফিসার দলজিত কুমার, বর্ডার গার্ড অফ বাংলাদেশের পক্ষ থেকেও আধিকারিকরা ছিলেন। এদিন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়, আগামী মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রতিমা নিরঞ্জন হবে। আন্তর্জাতিক আইন মেনে দর্শনার্থীদের এবং ঠাকুরের নৌকা জিরো পয়েন্ট বরাবর সীমান্ত অতিক্রম না করে প্রতিমা নিরঞ্জন করবে। টাকির (Taki- immersion) ঘাটগুলোতে পুলিশ ও বিএসএফ যৌথভাবে টহল শুরু করেছে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।

আরও পড়ুন- হাইকোর্টে জোর ধাক্কা খেলেন বিরোধী নেতা

Latest article