পোচেস্ট্রুম (দক্ষিণ আফ্রিকা) : দিদিরা কখনও বিশ্বকাপ জেতেনি। ঝুলন গোস্বামী, মিতালি রাজদের বারবার স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে। বোনেরা ক্রিকেটে প্রথম সুযোগেই বিশ্বসেরা। স্বপ্নপূরণ হয়নি ঝুলনের, পারলেন বাংলার রিচা, তিতাস, ঋষিতারা। বাংলার তিন মেয়ে প্রথম বিশ্বজয়ের উজ্জ্বল নক্ষত্র। উচ্ছ্বসিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, অসাধারণ কীর্তি। ১৬ বছর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতেই উদ্বোধনী টি-২০ বিশ্বকাপ জিতে ইতিহাস গড়েছিল ধোনির ভারত। উদ্বোধনী অনূর্ধ্ব-১৯ মহিলা টি-২০ বিশ্বকাপ নেলসন ম্যান্ডেলার দেশ থেকেই জিতে ফিরছে ভারতের মেয়েরা। ফাইনালে ইংল্যান্ডকে ৭ উইকেটে চূর্ণ করল উইমেন ইন ব্লু। বিশ্বকাপের (India win the U19 World Cup) মঞ্চ নতুন তারকার জন্ম দেয়। ম্যান্ডেলার দেশে সেই তারকার কি খোঁজ পেয়ে গেল বাংলাও? ফাইনালে স্যুইং ও গতির ঝড় তুললেন বঙ্গললনা তিতাস সাধু। তাঁর দাপট দেখার জন্য মুখিয়ে ছিলেন বঙ্গ ক্রিকেটপ্রেমীরা। ফাইনালে চুঁচুড়ার মেয়ের বিধ্বংসী বোলিং ইংল্যান্ডকে শুরুতেই যে ব্যাকফুটে ফেলে দেয়, সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি ইংল্যান্ড। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ডের ইনিংস গুটিয়ে যায় মাত্র ৬৮ রানে। বঙ্গ পেসার তিতাস ৪ ওভার বল করে মাত্র ৬ রান খরচ করে নেন ২ উইকেট। ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ১৯ রান করেন রিয়ানা ম্যাকডোনাল্ড।
আরও পড়ুন-মালা দিতেই বুকে গুলি, মৃত্যু ওড়িশার মন্ত্রীর
জবাবে ৬ ওভার বাকি থাকতেই জয়ের রান তুলে নেয় ভারত (India win the U19 World Cup)। অধিনায়ক শেফালি ভার্মা ১৫ রান করে আউট হন। ফর্মে থাকা শ্বেতা সেহরাওয়াতও ফাইনালে রান পাননি। তবে সৌমিয়া তিওয়ারি (২৪ অপরাজিত) ও গোঙ্গাদি তৃষা (২৪) ব্যাট হাতে নির্ভরতা দিয়ে ভারতের জয় নিশ্চিত করেন। ফাইনালের সেরার পুরস্কার উঠল বাংলার মেয়ে তিতাসের হাতে।