বৃষ্টির ম্যাচ জিতে সুপার ফোরে ভারত

নেপাল ২৩০ (৪৮.২ ওভার) ভারত ১৪৭/০ (২০.১ ওভার)

Must read

ক্যান্ডি: সেই ক্যান্ডি। সেই বৃষ্টি। এবং দফায়-দফায়। একেবারে পাকিস্তান ম্যাচের মতো। শুধু তফাত হল এদিন ওভার কমিয়ে তবু পুরো ম্যাচ করা গেল। তাতে নেপালের (India-Nepal) ঈষৎ অপ্রত্যাশিত ২৩০ রান ডাকওয়ার্থ লুইসে কমে দাঁড়াল ২৩ ওভারে ১৪৫। অর্থাৎ ভারতের জন্য সহজ টার্গেট। যেটা রোহিত শর্মারা আরও সহজে বিনা উইকেটে তুলে দিয়ে পা রাখলেন সুপার ফোরে। পাকিস্তানের মতো ভারতেরও ২ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট।
২.১ ওভারে ভারতের ১৭/০ হওয়ার পর শেষবার বৃষ্টি নেমেছিল। আবার যখন খেলা শুরু হল, ঘড়িতে রাত সওয়া দশটা। পাকিস্তান ম্যাচের পর সোমবারের এই ম্যাচেও বারবার বৃষ্টির মুখে পড়েছে ভারতীয় দল। এতে সেই প্রশ্নটাই ফের সামনে এল, এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল ওয়েদার রিপোর্ট দেখে ক্যান্ডিতে খেলা ফেলেনি? ডাকওয়ার্থ-লুইস নিয়মে ভারতের অবশ্য সুবিধা হল। আবার খেলা শুরু হলে রোহিত আর শুভমন অনায়াসে নেপালের রান টপকে গেলেন। রোহিত নট আউট থাকলেন ৭৪ রানে। শুভমন নট আউট ৬৭ রানে।
রোহিত নেপালকে ব্যাট করতে দেওয়ার পর যা ভাবা যায়নি, সেটাই হল। তাদের দুই ওপেনার ৬৫ রান তুলে তবে বিচ্ছিন্ন হলেন। কুশল ভুরতেলের (৩৮) নাম কে শুনেছে! তিনি গোটা তিনেক বাউন্ডারি আর জোড়া ছক্কায় শোর মাচিয়ে দিলেন। পাল্লেকেল স্টেডিয়ামে নেপালের কিছু সমর্থক ছিলেন। তাঁরা ওপেনারদের অপ্রত্যাশিত ব্যাটিংয়ে উৎসাহে ফেটে পড়েন। আরেক ওপেনার আসিফ শেখ করলেন ৫৮ রান। শেষমেশ নেপাল ৪৮.২ ওভারে ইনিংস শেষ করে ২৩০ রানে।

আরও পড়ুন-যাদবপুরের মৃত ছাত্রের বাবা-মা নবান্নে, কড়া পদক্ষেপের অঙ্গীকার মুখ্যমন্ত্রীর

প্রথম উইকেট যাওয়ার পর নেপাল পরপর উইকেট হারিয়েছে। শার্দূল প্রথম ধাক্কা দিয়েছিলেন। তারপর রবীন্দ্র জাদেজা ভিম শার্কি (৭), রোহিত পাউডেল (৫) ও কুশল মাল্লাকে (২) ফেরান। জাদেজা ও কুলদীপ বল করতে আসার পর চাপে পড়েছিল নেপালের (India-Nepal) ব্যাটিং। স্বাভাবিক। স্পিনারদের খেলতে গেলে ফুটওয়ার্ক লাগে। সেটা ছিল না। পরে আট নম্বরে নামা সোমপাল কামি ৪৮ করে রান নিয়ে যান। না হলে এত রান হয় না।
সদ্য-বাবা-হওয়া বুমরা দেশে ফিরে গিয়েছেন। তাঁর জায়গায় খেললেন মহম্মদ শামি। প্রথম স্পেলে ৪ ওভারে দেন ১৪ রান। পরে ৭ ওভারে ২৯/০। তাঁকে সমঝে খেলে দুই ওপেনার সিরাজ-শার্দূলকে আক্রমণ করে গেলেন। প্রশ্ন হল, রোহিত কি স্পিনারদের আনতে দেরি করলেন? না হলে জাদেজা আসতেই উইকেট গেল কী করে! তবে ৫ ওভারে ১০ রানের মধ্যে গোটা তিনেক ক্যাচ পড়েছে। না হলে এতটা আসত না নেপাল ইনিংস।
ওপেনার আসিফ শেখ সবথেকে বেশি রান করেছেন। তিনি যখন সিরাজের বলে আউট হলেন তখন নেপালের রান ১৩২/৫। এরপর যখন বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হয়েছে, তখন নেপাল ৩৭.৫ ওভারে ১৭৮/৬। ফের খেলা শুরু হলে দাপট ছিল সোমপালের। বোলারদের মধ্যে তিন উইকেট জাদেজা ও সিরাজের। কুলদীপ উইকেট শূন্য। দুই ওপেনার ম্যাচ এনে দিলেও বোলিং কিন্তু চিন্তায় রাখল।

Latest article