জর্জটাউন: অবশেষে চেনা মেজাজে সূর্যকুমার যাদব। জাতীয় দলের জার্সিতে শেষ কয়েকটা ম্যাচে রান পাননি। কিন্তু মঙ্গলবার সূর্যর ব্যাটিং তাণ্ডবের সাক্ষী রইল জর্জটাউন। শেষ পর্যন্ত সূর্য থামলেন মাত্র ৪৪ বলে ৮৩ রান করে। ১৭ বল বাকি থাকতেই ৭ উইকেটে অনায়াস জয় ছিনিয়ে নিল ভারত (India- West Indies)। আর টি-২০ সিরিজে ভেসে রইলেন হার্দিক পান্ডিয়ারা।
অথচ ওয়েস্ট ইন্ডিজের (India- West Indies) দেওয়া ১৬০ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি ভারতের। অভিষেক টেস্টে সেঞ্চুরি হাঁকালেও অভিষেক টি-২০ ম্যাচে হতাশ করলেন যশস্বী জয়সওয়াল (১)। ফের ব্যর্থ শুভমন গিল (৬)। ফলে ৩৪ রানেই দুই ওপেনারকে হারিয়েছিল ভারত। ওই পরিস্থিতি থেকে ম্যাচের মোড় পুরোপুরি ঘুরিয়ে দিলেন সূর্য। রীতিমতো ছড়ি ঘোরালেন ক্যারিবিয়ান বোলারদের উপরে। এবং তিলক ভার্মা। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের মতো পোড়খাওয়া ক্রিকেটার তিলকের মধ্যে রোহিত শর্মার ছায়া দেখছেন। বাঁ হাতি তরুণ এই প্রশংসার মান কতটা রাখতে পারবেন, তার জবাব দেবে ভবিষ্যৎ। তবে আগের ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরির পর এদিন ৩৭ বলে অপরাজিত ৪৯ রান করে বুঝিয়ে দিলেন, তাঁর উপর বাজি ধরাই যায়। সূর্যর সঙ্গে ৮৭ রান যোগ করেন তিলক। সূর্য আউট হওয়ার পর বাকি কাজটা করেন হার্দিক (১৫ বলে অপরাজিত ২০)।
আরও পড়ুন-আজ ফের মাঠে নামছে ইস্টবেঙ্গল
এদিন প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল করেছিলেন দুই ক্যারিবিয়ান ওপেনার ব্রেন্ডন কিং ও কাইল মেয়ার্স। দ্রুত ৫৫ রান যোগ করার পর এই জুটি ভাঙেন অক্ষর প্যাটেল। তাঁর বলে অর্শদীপ সিংয়ের হাতে ধরা পড়েন মেয়ার্স (২০ বলে ২৫ রান)। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামা জনসন চার্লস (১২) খুব বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারেননি। তিনি কুলদীপের শিকার। নিকোলাস পুরান ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই তাঁকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান কুলদীপ। ওই ওভারেই কুলদীপ আউট করে দেন কিংকেও (৪২ বলে ৪২)। ব্যর্থ শিমরন হেটমেয়ার (৯)। এর পরেও যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ স্কোরবোর্ডে লড়াই করার মতো রান তুলতে পেরেছিল, তার জন্য কৃতিত্ব প্রাপ্য অধিনায়ক রোভমান পাওয়েলের। চাপের মুখে মাত্র ১৯ বলে অপরাজিত ৪০ রানের ঝোড়ো ইংনিস খেলে দেন তিনি। কুলদীপ ২৮ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন।