প্রতিবেদন : নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে ফের চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে আনল লন্ডন ভিত্তিক বিশ্বের প্রথম সারির অর্থনীতি ও বাণিজ্য সংক্রান্ত দৈনিক পত্রিকা ফিনান্সিয়াল টাইমস। ওই পত্রিকাটি জানিয়েছে, মোদি সরকার (Modi Governemnt) বিতর্কিত পেগাসাসের চেয়ে কম পরিচিত একটি নতুন স্পাইওয়্যার সিস্টেম (new spyware system) কিনতে চাইছে। এই নতুন সিস্টেমের জন্য ১২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পর্যন্ত খরচ করতে চাইছে সরকার।
ফিনান্সিয়াল টাইমস-এর মতে, দায়িত্বপ্রাপ্ত ভারতীয় আমলারা পেগাসাসের তুলনায় একটি কম পরিচিত স্পাইওয়্যার সিস্টেমের (new spyware system) সন্ধান করছেন। নতুন স্পাইওয়্যার কেনা নিয়ে আলোচনা অনেকটাই এগিয়েছে। স্পাইওয়্যারের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের উদ্ধৃত করে ফিনান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছে, ভারতীয় আধিকারিকরা পেগাসাসের প্রতিদ্বন্দ্বী সংস্থার তৈরি কয়েকটি স্পাইওয়্যার নিয়ে আগ্রহ দেখিয়েছেন। যার মধ্যে অন্যতম গ্রিসের রাজধানী এথেন্সের সংস্থা ইন্টেলেক্সার তৈরি প্রিডেটর নামে একটি স্পাইওয়্যার সিস্টেম। এই স্পাইওয়্যার তৈরির ক্ষেত্রে ইজরায়েলের অভিজ্ঞ বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদদের কাজে লাগিয়েছে ইন্টেলেক্সা। পাশাপাশি কোয়াড্রিম এবং কগনাইট সিস্টেম নিয়েও কথা হয়েছে। নিউইয়র্ক ভিত্তিক ভেরিন্ট সিস্টেম সফটওয়্যার সংস্থা এই দুই স্পাইওয়্যার তৈরির সঙ্গে যুক্ত। ফিনান্সিয়াল টাইমস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রিডেটর একটি গোপন নজরদারি স্পাইওয়্যার। যা গ্রিসের গুপ্তচর প্রধান এবং প্রধানমন্ত্রীকে ফাঁদে ফেলেছে। কানাডার সিটিজেন ল্যাব এবং ফেসবুকের মতে, প্রিডেটর ইতিমধ্যে মিশর, সৌদি আরব, মাদাগাস্কার এবং ওমান-সহ কয়েকটি দেশে চালু রয়েছে। ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার পর কোয়াড্রিমকে সৌদি আরবের কাছে বিক্রির অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ভারত শীঘ্রই একটি চুক্তির জন্য স্পাইওয়্যার সংস্থাগুলিকে দরপত্র দাখিলের আমন্ত্রণ জানাতে পারে। অস্ট্রেলিয়া, ইতালি, ফ্রান্স, বেলারুশ এবং সাইপ্রাসে বর্তমানে যে সমস্ত স্পাইওয়্যার তৈরির সংস্থা রয়েছে তারা এই টেন্ডারে অংশ নিতে পারে। ফিনান্সিয়াল টাইমস-এর দাবি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড সরকারের স্পাইওয়্যার ক্ষমতা রয়েছে। তবে বেসরকারি ঠিকাদারদের পরিবর্তে তাদের নিজস্ব গোয়েন্দা সংস্থা এই স্পাইওয়্যার তৈরির সঙ্গে যুক্ত। ফিনান্সিয়াল টাইমসের দাবি বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে কোয়াড্রিম, ইন্টেলেক্সা এবং কগনাইট কেউই কোনও মন্তব্য করেনি। ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রকও কোন প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
আরও পড়ুন- কেন্দ্রের স্বৈরাচারী সরকার আর নেই দরকার