টস থেকে খেলা, ভারতের জন্য কাপ অধরাই থেকে গেল

দেশবাসীকে বিশ্বজয় করে ট্রফি তুলে দিতে পারলেন না রোহিত শর্মা,বিরাট কোহলিরা। কাজে লাগলো না কোটি কোটি দেশবাসীর প্রার্থনা,হোম-যঞ্জ।

Must read

আহমেদাবাদের (Ahmedabad) নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিং করেছে টিম রোহিত শর্মা। চাপ ছিল ওপেনার শুভমন গিলের ওপর। ৭ বলে মাত্র ৪ রানেই আউট হলেন গিল। বিশ্বকাপ ফাইনালে আহমেদাবাদের পিচ স্লো। তাই বল প্রথম থেকেই থমকে আসছিল। শুভমন গিলের টাইমিং ঠিক হয়নি এই নিয়ে সন্দেহ নেই। এবারের ওডিআই বিশ্বকাপে ৯টি ইনিংসে ৩৫০ রান করেছেন শুভমন গিল। টুর্নামেন্টে বেশ কয়েকটি ম্যাচে ভাল খেললেও, ফাইনালের মঞ্চে নজর কাড়তে পারলেন না তিনি।

আরও পড়ুন-টস থেকে খেলা, ভারতের জন্য কাপ অধরাই থেকে গেল

উল্টোদিকে ষষ্ঠ বার বিশ্বজয় অস্ট্রেলিয়ার। ঘটল না মিরাকেল। এই বছরের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীদের চোখে-মুখে হতাশা। ২০০৩ সালে বিশ্বকাপে ভারতকে হারিয়ে কাপ নিয়ে দেশে ফিরেছিল অস্ট্রেলিয়া। ফের সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল। ১২ বছর পরেও বিশ্বকাপ জয় হল না। এবারের বিশ্বকাপে এই একটি মাত্র ম্যাচ হারল ভারত। তাও ফাইনাল ম্যাচ। টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করে ২৪০ রান করা ভারতের বিরুদ্ধে ট্রেভিস হেডের শতরান অস্ট্রেলিয়াকে অনেকটাই এগিয়ে দিয়েছে। ফাইনালে এভাবে হারের দায় অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে কিছুটা হলেও নিতে হবেই। ২৪০ রান নিয়ে আরও আক্রমণাত্মক ফিল্ডিং সাজানোর দরকার ছিল সেটা তিনি করেন নি। কুলদীপ এবং জাদেজা বল করার সময় স্লিপে কোনও ফিল্ডার রাখেন নি যা অত্যন্ত ভুল সিদ্ধান্ত। সেখান দিয়েই চার মারেন হেড। শতরান করার পর ভারতীয় বোলারদের আত্মবিশ্বাস তলানিতে গিয়ে ঠেকেছিল। উল্টে হেডকে আটকানোর কোনও পরিকল্পনা রোহিতের মধ্যে দেখা যায় নি।

আরও পড়ুন-রাজনৈতিক বার্তার পোশাকে মাঠে ঢুকে এক দর্শক জড়িয়ে ধরলেন কোহলিকে, প্রশ্নের মুখে নিরাপত্তা

টস জিতে কামিন্স আগে বল করার সিদ্ধান্ত নেন। এই নিয়ে অনেক প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় তাকে। রিকি পন্টিং এই সিদ্ধান্তে বলেন, “টস জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণ বোঝা গেল না। এই পিচে আগে ব্যাট করে নিলেই বোধ হয় সুবিধা হত।” কিন্তু আজকের দিনে শেষ মুহূর্তে সকলকেই ভুল প্রমাণিত করলেন কামিন্স এবং অস্ট্রেলিয়ার বাকি বোলারেরা। রোহিত মাঠে নেমে খুব দ্রুত রান তোলেন। বড় শট খেলতে গিয়ে ৪৭ রানে আউট হলেন। তিনি আউট হতেই একপ্রকার ধাক্কা খেল ভারত। এরপর ভারতের বাকি ইনিংসে হল মাত্র চারটি বাউন্ডারি। রোহিত নিজে তিনটি ছয় এবং চারটি চার মেরেছিলেন। বিরাট কোহলির মারা চারটি চারও এসেছিল রোহিত মাঠে থাকাকালীন।

আরও পড়ুন-২০২৩ মিস ইউনিভার্সের খেতাব জিতলেন শেনিস পালাসিওস, ভারতের প্রতিনিধিত্ব করলেন শ্বেতা শারদা

উল্লেখ্য, টানা ১০টি ম্যাচ জিতে বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠে ভারত। অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েই প্রথম তাদের যাত্রা শুরু হয়। ফাইনালে সেই অস্ট্রেলিয়া তাদের হারিয়ে কাপ নিয়ে গেল। অবশেষে হেডের কাছেই মাথা হেঁট হল টিম ইন্ডিয়ার। দেশবাসীকে বিশ্বজয় করে ট্রফি তুলে দিতে পারলেন না রোহিত শর্মা,বিরাট কোহলিরা। কাজে লাগলো না কোটি কোটি দেশবাসীর প্রার্থনা,হোম-যঞ্জ।

Latest article