ছটপুজোয় দু’দিন ছুটি রাজ্যে, কেন্দ্র কেন দেয় না : মুখ্যমন্ত্রী

সব ধর্মের উৎসবকে মর্যাদা দেয় বাংলা

Must read

প্রতিবেদন : ধর্ম যার যার উৎসব সবার। এই মন্ত্রেই চলে বাংলার মানুষ। কারণ, বাংলা সর্বধর্ম সমন্বয়ের ক্ষেত্র। এটাই বাংলার ঐতিহ্য। তাই দুর্গাপুজো যেমন সকলের, আবার ছটপুজোও সকলের। যেকোনও উৎসবে আমরা একসঙ্গে মিলিত হই। প্রতি বছরের মতো এবারও কলকাতার তক্তাঘাট, তারপর দইঘাটে ছটপুজোর অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) মনে করিয়ে দিলেন বাংলার ঐক্যের-সম্প্রীতির ইতিহাস। একইসঙ্গে কেন্দ্রকে বিঁধে বললেন, দিল্লি তো ছটপুজোয় ছুটি দেয় না। আমরা দু’দিন ছুটি দিই। যাতে সকলে উৎসব পালন করতে পারেন। সোমবার ছটপুজোর ছুটি দিয়েছে রাজ্য সরকার। ইদ-কালীপুজোতেও ছুটি দিই আমরা। সব উৎসবে ছুটি থাকে। বাংলায় যারা থাকেন তাঁরা বাংলাকে ভালবেসে থাকেন। এদিন মুখ্যমন্ত্রী প্রথমে তক্তাঘাটে নেতাজি স্পোর্টিং ক্লাবের ছটের অনুষ্ঠানে যান। সূর্য দেবতাকে প্রণাম করে মন্ত্রপাঠ করেন। পুণ্যার্থীদের শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, আগে এই ঘাটগুলির অবস্থা শোচনীয় ছিল। আমাদের সরকার আাসার পর সব নতুন করে দিয়েছি। ঘাটগুলিতে পর্যাপ্ত আলো লাগানো হয়েছে। তক্তঘাটের অনুষ্ঠান ছেড়ে হেঁটেই পাশের দইঘাটে যান তিনি। সেখানে ছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি, সাংসদ মালা রায়, বিধায়ক দেবাশিস কুমার, মেয়র পারিষদ তারক সিং, কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল প্রমুখ। এ-ছাড়া বিভিন্ন ঘাটে মন্ত্রী অরূপ রায়, সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিরাও। দইঘাটে মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) পুজো দেন। আরতি করেন। এদিন দইঘাটে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রয়াত নেতা রামপেয়ারির কথা উল্লেখ করেন। তাঁর কথায়, রামপেয়ারি আজীবন আমার সঙ্গে দল করেছে। ওকে মিস করছি আমরা। প্রতি বছর ও এই মঞ্চে উপস্থিত থাকত। অনেকে বলেন, আমি কেন ছটপুজোতেও আসি। আমি ছটপুজোয় আসছি ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে। যতদিন বেঁচে থাকব আসব। কারণ, ছটপুজো যাঁদের উৎসব, সেই বিহারি ভাই-বোনেরা আমাদেরই ভাই-বোন। তাঁরা অনেকে বাংলায় থাকেন। সকলেই আমাদের। আর আমি নিজেও সূর্যের উপাসক। রোজ মন্ত্র পড়ে সূর্যপ্রণাম জানাই। তাই এই উৎসব আমারও উৎসব। আমাদের অনেক মা-বোন আছেন, যাঁরা ৩৬ ঘণ্টা উপবাস থেকে এই পুজো করেন। আমিও উপবাসে থাকি। আমার নামেও সাগরে পুজো হয়। যে-দেশে গঙ্গা বয়ে যায়, সেই দেশ পবিত্র দেশ। আমাদের রাজ্য দিয়েও গঙ্গা বয়ে গিয়েছে। আমি মাগঙ্গা, আদিগঙ্গার পাশেই থাকি। প্রতিদিন গঙ্গামাকে প্রণাম জানাই। সবাইকে অভয় দিলেন। পুলিশ, ভলেন্টিয়াররা খেয়াল রাখবেন আপনাদের। আস্তে আস্তে পুজো দিয়ে সবাই নিশ্চিন্তে ঘরে ফিরে যাবেন।

আরও পড়ুন- রেলের ভাড়া বৃদ্ধিতে নেই নিয়ন্ত্রণ, এক্স হ্যান্ডেলে ক্ষোভ মুখ্যমন্ত্রীর

Latest article