হাংঝাউ, ১৯ সেপ্টেম্বর : শুরুতেই এক গোলে পিছিয়ে পড়ে গোল শোধ, পেনাল্টি সেভ। ভারতের প্রত্যাশার ফানুস চুপসে গিয়েছে ম্যাচের রেজাল্টে। প্রথমার্ধের শেষে রাহুল কেপি-র দারুণ একটি গোল আশা জাগালেও দ্বিতীয়ার্ধে ভারতীয় ফুটবলারদের মাটি ধরিয়ে ঘরের মাঠে বড় জয় তুলে নিল চিন। বিনা প্রস্তুতিতে এশিয়ান গেমস ফুটবলের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে চিনের কাছে ১-৫ গোলে হারলেন সুনীল ছেত্রীরা। শুধু ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধেই চার গোল খেল ভারত। গ্রুপের অন্য ম্যাচে মায়ানমার ১-০ গোলে হারায় বাংলাদেশকে। পরের দু’টি ম্যাচে বড় ব্যবধানে জিতলে অবশ্য পরের রাউন্ডে ওঠার সুযোগ থাকবে সুনীলদের।
আরও পড়ুন-শ্রীনিকেতনে শিল্পোৎসবে নন্দলাল বসুর আমলে হত জুতো পুজো
সুনীল ছেত্রী, সন্দেশ ঝিঙ্গানকে এদিন শুরু থেকেই দলে রাখেন কোচ ইগর স্টিমাচ। চিন প্রচণ্ড গতিতে শুরু থেকে ভারতীয় রক্ষণে কাঁপুনি ধরালেও প্রথমার্ধে ভারতীয়দের পারফরম্যান্স ছিল ভরসা দেওয়ার মতোই। পিছিয়ে পড়ে ভারত। তাতেও হার-না-মানা ফুটবলে নজর কাড়েন গুরমিত, সুমিত রাঠিরা। ২৪ মিনিটে আয়ুষ ছেত্রীর ভুল ব্যাক পাসে বল পায় প্রতিপক্ষ। গোলকিপার গুরমিত তাঁকে আটকাতে মরিয়া চেষ্টা করে ফাউল করে বসেন। পেনাল্টি পায় চিন। ডান দিকে ঝাঁপিয়ে অনবদ্য সেভ করেন গুরমিত।
আরও পড়ুন-সময় বাঁচাতে ভার্চুয়াল মাধ্যম
প্রথমার্ধের সংযুক্ত সময়ে রাহুল কেপি-র বিশ্বমানের গোলে ম্যাচে সমতা ফেরায় ভারত। ডান দিক থেকে প্রচণ্ড গতিতে উঠে ছোট অ্যাঙ্গল থেকে ডান পায়ের চকিত শটে গোল করেন রাহুল। বিরতির পর ছবিটা পুরো বদলে যায়। ৫১ মিনিটে এগিয়ে যায় চিন। বক্সের উপর থেকে গুরমিতকে পরাস্ত করে গোল করেন দাই ওয়েই জুন। সেই শুরু। তারপর যত সময় গড়াল, চিনের দাপট ততই বাড়ল।
আরও পড়ুন-কলকাতা-কোচবিহার রুটে আরও ১ বিমান
মূলত চিনা ফুটবলারদের গতিতেই পিছিয়ে পড়ে ভারত। খেলার শেষ মিনিট পর্যন্ত প্রায় একই গতিতে আক্রমণ করে যায় চিন। ৭২ ও ৭৫ মিনিটে জোড়া গোল করেন তাও কিয়াংলং। দু’টি ক্ষেত্রেই দাঁড়িয়ে দেখল স্টিমাচের দলের রক্ষণ। বারবার বোঝা গিয়েছে, প্রস্তুতির অভাব। রক্ষণ হোক বা আক্রমণভাগ, কোনও ক্ষেত্রেই পুরনো ও নতুনদের মধ্যে বোঝাপড়াই ছিল না। ১-৪ পিছিয়ে পড়ার পর ম্যাচে ফেরার কোনও সুযোগ ছিল না ভারতের কাছে। তার উপর সংযুক্ত সময়ে পঞ্চম গোলও করে চিন। গোলদাতা হাও ফেং।