নবনীতা মণ্ডল, নয়াদিল্লি: একদিকে অনাস্থা প্রস্তাব, অন্যদিকে দিল্লির অর্ডিন্যান্স বিল, এই দুটি বড় ইস্যুতে প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রস্তুতি চলছে ইন্ডিয়া শিবির। জানা গিয়েছে, ইন্ডিয়া জোটের আনা অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে দিল্লি অর্ডিন্যান্স বিলের পরেই। আগামী সপ্তাহের প্রথমার্ধেই আনা হবে অর্ডিন্যান্স বিল। তারপর সপ্তাহের শেষের দিকেই লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে। ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এই সময় ১০০ শতাংশ হাজিরা থাকতে হবে। অন্যান্য বিলগুলি নিয়ে আলোচনায় অংশ না নিলেও দিল্লির অর্ডিন্যান্স বিল নিয়ে আলোচনায় অংশগ্রহণ করবে ইন্ডিয়া জোট।
আরও পড়ুন-উড়ে গেল বিমান, রাজ্যপালকে না নিয়ে
বিধি অনুযায়ী, অনাস্থা প্রস্তাব জমা হওয়ার পর সেটিকেই অগ্রাধিকারের তালিকায় রাখা হয়। যদিও বুধবারের পরেও একের পর এক বিল পাস করিয়েছে মোদি সরকার। এর প্রতিবাদে স্লোগান, বিক্ষোভ করছে ইন্ডিয়া জোট। কংগ্রেস সাংসদ মণীশ তিওয়ারির অভিযোগ, সংসদীয় প্রথা মানছে না সরকার। কারণ অনাস্থা প্রস্তাব জমা পড়ার পর অন্য বিল পাস করানো যায় না। ইন্ডিয়া জোটের বক্তব্য, হার বা জিত বড় ব্যাপার নয়, সরকারকে চ্যালেঞ্জ করাই উদ্দেশ্য।
আরও পড়ুন-মণিপুর: সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানাল কেন্দ্র
শুক্রবার রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গের ঘরে বৈঠকেও সেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ছাড়াও দিল্লি অর্ডিন্যান্স নিয়ে ভোটাভুটিতে অংশ নিতে আসবেন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার নেতা শিবু সোরেন। এদিকে, শুক্রবার রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে বাদানুবাদ হয় তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনের। এদিন রাজ্যসভা শুরু হতেই স্লোগান শুরু হয়।