শিল্পোৎপাদনে ধাক্কা, উৎসবের মরশুমে ফের বাড়ল বেকারত্বের হার

একদিকে দেশে বেকারত্বের হার বাড়ছে, অন্যদিকে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য। খাদ্যপণ্যের চড়া দামে নাভিশ্বাস উঠছে মানুষের।

Must read

প্রতিবেদন : নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বছরে ২ কোটি বেকারের চাকরি দেবেন। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি মরীচিকার মতো বহু আগেই মিলিয়ে গিয়েছে। বরং নরেন্দ্র মোদির আমলে দেশে বেকারত্বের হার ৪৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছেছে। এই উদ্বেগজনক পরিসংখ্যান দেখার পরেও মোদি নিজেকে বদলাতে রাজি নন। যথারীতি তিনি বিভিন্ন নির্বাচনমুখী রাজ্যে গিয়ে মিথ্যা প্রচারের ফানুস ওড়াচ্ছেন৷ এসবের মধ্যে সরকারের উপদেষ্টা সংস্থা সিএমআইই জানাল, ১৬ অক্টোবর শেষ হওয়া সপ্তাহে দেশে বেকারত্বের হার আগের সপ্তাহের থেকে আরও অনেকটা বেড়েছে।

আরও পড়ুন-মালবাজারে বিরোধীদের ধুয়ে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো

৯ অক্টোবর শেষ হওয়া সপ্তাহে দেশে বেকারত্বের হার ছিল ৭.৩২ শতাংশ। কিন্তু ১৬ অক্টোবর শেষ হওয়া সপ্তাহে বেকারত্বের হার আরও ১.৪৬ শতাংশ বেড়ে ৮.৭৮ শতাংশে পৌঁছেছে। গ্রামাঞ্চলে বেকারত্বের হার ৯.৪২ শতাংশ। শহরাঞ্চলে বেকারত্বের হার ৭.৩৬ শতাংশ।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, উৎসবের মরশুমে বেকারত্বের হার বৃদ্ধি নিশ্চিতভাবেই মানুষকে সমস্যায় ফেলবে। কর্মসংস্থান সঙ্কুচিত হওয়ার পাশাপাশি রয়েছে মূল্যবৃদ্ধির কাঁটা৷ অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, সম্প্রতি কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার ১০০ দিনের কাজের বরাদ্দ অনেকটাই কমিয়েছে। বাংলার মতো কিছু রাজ্যের সঙ্গে তারা রাজনৈতিক কারণে বঞ্চনা করছে। বাংলায় আটকে রাখা হয়েছে ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা। এর ফলে গ্রামাঞ্চলের মানুষের আয়ের ক্ষেত্রে বড়সড় ধাক্কা লেগেছে। এরই প্রতিফলন ঘটেছে গ্রামাঞ্চলে বেকারত্বের হার বৃদ্ধিতে। তাছাড়াও বেকারত্বের হার বৃদ্ধির অর্থ হল, দেশের আর্থিক বৃদ্ধির গতি মন্থর হয়ে পড়া। শিল্পোৎপাদন হ্রাস পাওয়া। শিল্পোৎপাদন কমার কারণেই শহরাঞ্চলে বেকারত্বের হার বেড়েছে।

আরও পড়ুন-মাল নদীর দুর্ঘটনায় উদ্ধাকারীদের পুরস্কার মুখ্যমন্ত্রীর, স্বজনহারা নিকট আত্মীয়দের চাকরির অফার

একদিকে দেশে বেকারত্বের হার বাড়ছে, অন্যদিকে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য। খাদ্যপণ্যের চড়া দামে নাভিশ্বাস উঠছে মানুষের। জনবিরোধী মোদি সরকার পেট্রোল, ডিজেল ও রান্নার গ্যাসের দাম বাড়িয়ে চলেছে। সমস্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসই অগ্নিমূল্য৷ অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে চাহিদা বা মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমেছে। বেকারত্ব বৃদ্ধি বা কাজ হারানোর ফলে মানুষের আর্থিক সঙ্গতি একেবারে তলানিতে নেমে এসেছে। চাহিদা কমলে স্বাভাবিকভাবেই কমে শিল্পোৎপাদন। আর শিল্পোৎপাদন ধাক্কা খাওয়ার ফলে বেকারত্বের হারও বেড়ে চলেছে৷

Latest article