মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশেষ উদ্যোগে বাঁকুড়া জেলার সার্বিক উন্নয়ন তো হচ্ছেই, এই জেলায় বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে শিল্পক্ষেত্রকে। সেই লক্ষ্যে পরিকাঠামো উন্নয়নও হচ্ছে দুর্দান্ত গতিতে। এগোচ্ছে শিক্ষা, স্বাস্থ্য থেকে পর্যটনও।
nশিল্প করিডর : শিল্পায়নে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। তার জেরেই পূর্ব মেদিনীপুর থেকে পুরুলিয়া ৫০০ কিলোিমটার বিস্তৃত এক অর্থনৈতিক ও শিল্প করিডর প্রকল্প তৈরি হচ্ছে৷ এই ইন্ডাস্ট্রিয়াল করিডর বাঁকুড়া-সহ সাতটি জেলাকে এক সূত্রে বাঁধবে।
আরও পড়ুন-আর পিছিয়ে নেই উত্তর দিনাজপুর জেলা
nপরিকাঠামো : পথশ্রী-রাস্তাশ্রী প্রকল্পে ৩৫৩টি নির্মাণকাজ এবং ৩৯টি মেরামতের কাজ হয়েছে। সব মিলিয়ে ৬২৫.১৫ কিলোমিটার রাস্তার কাজ হয়েছে জেলা জুড়ে।
nপরিকাঠামো : জেলায় বাড়ি বাড়ি পানীয় জল সরবরাহের পাশাপাশি জলতীর্থ কর্মসূচির অধীনে জলাশয় ও চেকড্যামের মতো ১৭৫টিরও বেশি পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। ২০২২-এ বাঁকুড়ার সোনামুুখী নতুন ফায়ার স্টেশন তৈরি হয়েছে। এমএসএমই এবং টেক্সটাইল বিভাগ র়াজ্য গ্রামীণ জীবিকা মিশন এবং বিশ্বব়াংলা মার্কেটিং কর্পোরেশনের সঙ্গে বাঁকুড়ার বিভিন্ন পর্যটন স্থানে সুভেনিয়র প্রদর্শন ও বিক্রয়ের জন্য কিয়স্ক স্থাপন করতে সহযোগিতা করছে।
আরও পড়ুন-সেতু-সড়ক, শিক্ষা-শিল্পে টেক্কা দিচ্ছে ঝাড়গ্রাম
nস্বাস্থ্য : বেশ কিছু প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং হাসপাতাল তৈরির পাশাপাশি রাজ্য সরকারের ক্যান্সার রেজিস্ট্রি অ্যাপ্লিকেশন বর্তমানে বাঁকুড়া এমসিএইচ-এ কাজ করছে। এই পদক্ষেপ জেলার ক্যান্সার র়োগীদের স্বাস্থ্য পরিষেবা সহজতর কর়ার সুবিধা দেবে।
nধর্মীয় ও পর্যটন উৎসব : ধর্মীয় পর্যটন প্রচারের জন্য জয়রামবাটীতে শ্রীশ্রী মাতৃমন্দির নির্মাণ ও উন্নয়নের কাজ চলছে। শিগগিরই এর কাজ শেষ হবে। বন দফতর ২০২২ সালে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের লালগড় নগরবনকে একটি প্রধান পর্যটন আকর্ষণ হিসাবে গড়ে তোলার জন্য নগরবন যোজনা প্রকল্প চালু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-হাইকোর্টে রামধাক্কা বিরোধী দলনেতার
nসামাজিক প্রকল্প : ৮.৫৮ লক্ষ মহিলা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে উপকৃত হয়েছেন। ৫.৪২ লক্ষ ছ়াত্রছ়াত্রী উপকৃত হয়েছেন ঐক্যশ্রী প্রকল্প থেকে। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পেয়েছেন ১০.৬৯ লক্ষ মানুষ। বহুজন উপকৃতও হয়েছেন। খাদ্যসাথী থেকে উপকৃত হয়েছেন ৩৫.৯২ লক্ষ মানুষ। ৮.৪১ লক্ষ মানুষকে দেওয়া হয়েছে জাতিগত শংসাপত্র। ২৪.৪ হাজার আদিবাসী মানু্ষ উপকৃত হয়েছেন জয় জে়াহার থেকে। তফসিলি বন্ধু থেকে উপকৃত হয়েছেন ৫৩.৬৫ হাজার মানুষ। জেলার মেয়েদের স্কুলমুখী করতে প্রশাসন বিশেষ উদ্যোগী। তার জেরেই ৩.৩৪ লক্ষ কন্যাশ্রী থেকে উপকৃত হয়েছে।
আরও পড়ুন-মঞ্চে ইতিহাস সৃষ্টিকারী ‘বারবধূ’
nদুয়ারে সরক়ার : রাজ্য সরকারের অভিনব প্রকল্প দুয়ারে সরকার। জেলায় দুয়ারে সরকারের ষষ্ঠ পর্বে ৪,১৫৮টি শিবির হয়েছে, যেখানে ২,২৮,০৭০ জন গিয়েছেন।
nরাস্তা : পাত্রসায়রে পথশ্রী-রাস্তাশ্রীর অধীনে কাঁকর়াসোল মোড় থেকে কুশদ্বীপ বাজার এবং নতুন ব়াজার থেকে ব়ার়াসাত সংযোগকারী মোট ৩০ কিলোমিটার র়াস্তা মেরামত কর়া হচ্ছে। সিমলাপাল ব্লকে ২৬ কিলোমিটার র়াস্তা তৈরি হচ্ছে। এই রাস্তাগুলি ঘোড়াধার়া ফুটবল মাঠের মাচাতোরা প্রধান সড়ক এবং প়ারসোলা চৌমাথা থেকে গুড়িয়াঘাট গ্রামকে সংযুুক্ত করবে।
আরও পড়ুন-প্রধানমন্ত্রী হাসিনার হস্তক্ষেপ, অবসরের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার তামিমের
nমাটির সৃষ্টি : এই প্রকল্পের অধীনে কৃষকদের অতিরিক্ত আয়ের জন্য সমন্বিত চাষাব়াদের (উদ্যান, মৎস্য বা পশুপালন) জন্য অনাব়াদী জমি ব্যবহার করার লক্ষ্যে বাঁকুড়ার ১৭,০০০ একর জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। এটি সিমলাপাল-সহ একাধিক ব্লক কভাভ় করে।