প্রতিবেদন : ইজরায়েল-হামাসের (Israel-Hamas war) মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ অব্যাহত। তবে পাল্টা আক্রমণের ক্ষেত্রে ইজরায়েল কিছুটা ধীরে চলো নীতি নিয়েছে। কারণ, হামাসের হাতে পণবন্দি রয়েছেন প্রায় ২২২ জন। একাধিকবার বার্তা দেওয়া সত্ত্বেও মাত্র দুই মহিলা মার্কিন নাগরিককে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। পণবন্দিদের মুক্তির জন্য বাধ্য হয়ে এবার ইজরায়েলি সেনা গাজায় লিফলেট বিলি করল। লিফলেটে লেখা, পণবন্দিদের সম্পর্কে কেউ তথ্য দিলে, তাদের হামাসের হাত থেকে সুরক্ষা দেওয়া হবে এবং নগদ পুরস্কারও দেওয়া হবে।
ইজরায়েল-প্যালেস্টাইন যুদ্ধের মাঝে আটকে পড়েছেন অসংখ্য মানুষ। যুদ্ধ শুরুর পরই বহু ইজরায়েলি ও বিদেশি নাগরিকদের বন্দি বানায় হামাস (Israel-Hamas war)। তাদের গাজা ভূখণ্ডের বিভিন্ন বাঙ্কারে আটকে রাখা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আসলে ইজরায়েলি সেনা আক্রমণ করলে তাদের ঢাল হিসাবে ব্যবহার করার ছক কষেছে হামাস। মঙ্গলবার থেকে গাজায় লিফলেট বিলি শুরু করেছে আইডিএফ। সেখানে প্যালেস্টিনীয় নাগরিকদের কাছে বন্দিদের সম্পর্কে তথ্য জানাতে অনুরোধ করা হয়েছে। এক্স হ্যান্ডেলও আইডিএফ লিখেছে, যদি আপনারা শান্তিপূর্ণভাবে জীবন কাটাতে চান এবং নিজের সন্তানদের ভাল ভবিষ্যৎ চান, তবে মানবতার পথে চলুন এবং আপনার এলাকায় যাদের বন্দি বানিয়ে রাখা হয়েছে, তাদের সম্পর্কে সঠিক ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানান। ইজরায়েলি সেনা আপনার ও আপনার পরিবারের সুরক্ষার সর্বোত্তম চেষ্টা করবে। এছাড়া আর্থিক পুরস্কারও দেওয়া হবে।
অন্যদিকে নতুন ধরনের বিপজ্জনক মারণাস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ উঠল ইজরায়েলের বিরুদ্ধে। গাজার একটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, প্যালেস্টিনীয়দের বিরুদ্ধে হামলায় ইজরায়েল এই ‘নতুন ধরনের মারণাস্ত্র’ ব্যবহার করছে। তাঁদের দাবি, হামলায় আহত হয়ে হাসপাতালে আসা ব্যক্তিদের আঘাতের চিহ্নের সঙ্গে আগের চিহ্নের কোনও মিল নেই। গত ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে বেনজির হামলা চালায় প্যালেস্টাইনের উগ্রবাদী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এর পাল্টা জবাবে সেদিন থেকেই গাজায় নির্বিচারে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইজরায়েল। গাজা শহরের আল শিফা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্যালেস্টাইন ভূখণ্ডে ইজরায়েল এর আগে যত হামলা চালিয়েছে, সেগুলিতে আহত ব্যক্তিদের আঘাতের ধরনের সঙ্গে এবারের আঘাতের মিল নেই। ইজরায়েলের হামলায় আহত ব্যক্তিদের শরীরে এমন আঘাতের চিহ্ন আগে কখনও দেখা যায়নি। চিকিৎসকদের দাবি, গাজায় ইজরায়েল ‘নতুন মারণাস্ত্র’ ব্যবহার করার কারণে আঘাতের ধরন বদলে গিয়েছে।
সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গাজায় ইজরায়েলি হামলায় এখনও পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ৬ হাজার ছাড়িয়েছে। ইজরায়েলি বিমান হামলায় ভেঙে পড়া ভবনগুলিতে এখনও অনেকে আটকা পড়ে আছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- ভারতীয় বংশোদ্ভূত ২ বিজ্ঞানী পুরস্কৃত