যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব উড়িয়ে গাজার অ্যাম্বুল্যান্সে হামলা ইজরায়েলের

ব্লিঙ্কেনের আবেদন ব্যর্থ

Must read

প্রতিবেদন : গাজা এখন ধ্বংসস্তূপ। ইজরায়েলের (Israel-Hamas War) বেলাগাম হামলায় নির্বিচারে মানুষ মারা যাচ্ছে। হামাসের পাপের ফল ভোগ করছে গাজার নিরীহ মানুষ। ভয়াবহ মানবিক সংকটের মুখে গাজায় মানবিক সহায়তা ও যুদ্ধবিরতির আবেদন জানাতে ইজরায়েল সফরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন বিদেশসচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। তবে এই বৈঠক কার্যত ব্যর্থ। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে মার্কিন বিদেশসচিবের যুদ্ধবিরতির আবেদন উড়িয়ে জানিয়ে দিলেন, ‍‘‍‘হামাসের হাতে পণবন্দিরা যতক্ষণ না মুক্তি পাচ্ছে ততক্ষণ কোনও চুক্তি করা হবে না।’’ শুধু তাই নয়, হাসপাতালের পর নতুন করে গাজার এক অ্যাম্বুল্যান্সে বিমান হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল। এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১৫ জনের, আহত ৬০ জন। গাজা শহরের বৃহত্তম হাসপাতাল আল-শিফার বাইরে অ্যাম্বুল্যান্সে হামলা করে ইজরায়েলের (Israel-Hamas War) বায়ুসেনা। এই হামলার কথা স্বীকার করে ইজরায়েল সেনা দাবি করছে, তারা অ্যাম্বুল্যান্সে হামলা করেছে কারণ সেটি হামাস যোদ্ধারা ব্যবহার করছিল। গত ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে হামলা চালায় হামাস। জবাবে ওইদিন থেকেই গাজাকে অবরুদ্ধ করে নির্বিচার বোমা হামলা চালিয়ে আসছে ইজরায়েল। এই সংঘাতে এখন পর্যন্ত গাজায় ৯ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে অধিকাংশই শিশু ও নারী।
গাজায় মানবিক সাহায্য ও লড়াই থামানোর আবেদন জানাতে ইজরায়েল সফরে গিয়েছেন মার্কিন বিদেশসচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। তেল আভিভে নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নিজের প্রস্তাব জানান ব্লিঙ্কেন। তবে সে প্রস্তাব খারিজ করে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন যতক্ষণ না হামাসের হাতে আটক সব বন্দির মুক্তি হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত যুদ্ধ থামার কোনও প্রশ্নই নেই। এই বৈঠক ব্যর্থ হওয়ার পর মার্কিন বিদেশসচিব বলেন, এই যুদ্ধ কেবল হামাসকে পরাজিত করাই নয়, বরং ৭ অক্টোবরের মতো ঘটনা আর কখনও যাতে না ঘটে তাও নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে আমাদের একটি ভাল ধারণা নিয়ে লড়াই করতে হবে, ভবিষ্যতের জন্য আরও ভাল দৃষ্টিভঙ্গি থাকতে হবে এবং দেখাতে হবে তা অর্জনে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পাশাপাশি ব্লিঙ্কেন আরও বলেছেন, দ্বি-রাষ্ট্রীয় দৃষ্টিভঙ্গি ‘মানুষকে আশা জোগাতে পারে’ এবং এই অঞ্চলে বিস্তৃত এবং শক্তিশালী একটি জোট এটা সমর্থনও করে।
জানা গিয়েছে, ইজরায়েলের কাছে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়ে গিয়ে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর শুক্রবার গভীর রাতে জর্ডনের রাজধানী আম্মানে পৌঁছেছেন ব্লিঙ্কেন। শনিবার জর্ডনের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তিনি। সেখানে মিশর, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি ও কাতারের বিদেশমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন মার্কিন বিদেশসচিব। সেখানে উপস্থিত থাকবেন প্যালেস্টাইনের একজন প্রতিনিধিও।

আরও পড়ুন-ভূকম্পনে বিধ্বস্ত নেপালে বাড়ছে মৃত্যু, নিখোঁজ বহু

Latest article