আড়াই বছরের অপেক্ষার অবসান হল আজ। বলা যায় পুজোর আগে উত্তর কলকাতাবাসীর (Kolkata) জন্য বেশ খানিকটা স্বস্তি। নতুন মোড়কে খুলে গেল টালা ব্রিজ (Tala bridge)। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে নবনির্মিত টালা সেতুর উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ ৫টা ৪৯ মিনিট নাগাদ রিমোটে উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পুজোর আগে এটা উপহার। আজকের দিনে পুজোর আগে এটা আপনাদের কাছে বড় উপহার। আমি একটা প্রবলেম দেখেছিলাম, মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে যাওয়ার পরে। কী ভাবে ঘুরে ঘুরে যেতে হত বেহলারা লোকদের। টালা ব্রিজ যখন ভাঙতে রেল চার মাস সময় নিয়েছিল। আমি বলেছিলাম, তাড়াতাড়ি কাজটা করো।’
আরও পড়ুন-‘রাস্তা বন্ধ হলেই আমায় ফোন করবে’, শ্রীভূমির পুজো উদ্বোধন করে আজ সুজিত বসুকে নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
বরাহনগর বা সিঁথির মোড় থেকে উত্তর কলকাতায় আসতে বেলগাছিয়া ব্রিজের যানজট এড়িয়ে খুব সহজেই গন্তব্যস্থলে যাওয়া যাবে। পুজোর আগে টালা সেতু খুলে যাওয়ায় অবাঞ্চিত যানজটের ভোগান্তি অনেকটাই কমবে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। উত্তর কলকাতা ও উত্তরের শহরতলিতে যাওয়ার জন্য টালা সেতু খুব গুরুত্বপূর্ণ।
এই মর্মে মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, ‘অত্যাধুনিক প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে নতুন এই সেতুটি তৈরি হওয়ায় তা আগের তুলনায় অনেক বেশি মজবুত হয়েছে।’
আরও পড়ুন-‘রাস্তা বন্ধ হলেই আমায় ফোন করবে’, শ্রীভূমির পুজো উদ্বোধন করে আজ সুজিত বসুকে নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
এদিন উদ্বোধনের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমরা তিনটে উড়ালপুল এর প্ল্যান করেছি। টাকা হলে করবো। টালা থেকে ডানলপ, পাইকপাড়া থেকে শিয়ালদহ, এয়ারপোর্ট ১ নম্বর গেট থেকে যশোর রোড৷’ টালা সেতুর পরিকল্পনা নিয়ে তিনি জানান, ‘‘এলাকাবাসিকে ধন্যবাদ জানাই, যাঁরা পূর্ন সহযোগিতা করেছেন। ফুটপাত, সার্ভিস রোড নিয়ে কিছু ইস্যু আছে। আমি পূর্ত দফতরকে বলব, তিন মাসের মধ্যে দেখে নিতে। এ বারে আকারে সেতু অনেক বড় হচ্ছে৷ আগে ছিল এটা দু’লেন, এখন চার লেন হল৷ ব্রিজ তৈরি করতে ৫০৪ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। আমাদের রেলকেও টাকা দিতে হয়েছে। ভেবেছিলাম রেল ছাড় দেবে। কিন্তু রেল, এই ব্রিজটা ভেঙে দেওয়ার জন্য ৯০ কোটি টাকা নিয়েছে৷’