সংবাদদাতা, হুগলি : সেজে উঠেছে আলোর শহর চন্দননগর (Jagadhatri puja- Chandannagar)। চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী মানেই নতুন চমক। আর তা দেখার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন দর্শনার্থীরা। এবছর শুধু মণ্ডপ কিংবা শোভাযাত্রা নয়, জগদ্ধাত্রী পুজোর থিমও চমকে দেবে সকলকে। ঠিক যেমন প্রতিমায় চমক এনেছে বোড় চাঁপাতলা যুব সম্প্রদায় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটি। ৬১ তম বর্ষে তাঁদের থিম ইতিহাসের ইতিকথা। মণ্ডপসজ্জায় তুলে ধরা হয়েছে চন্দননগরের নানান ইতিহাস।
পর্তুগিজ, ডাচ, ডেনিস, ফরাসি থেকে ব্রিটিশ উপনিবেশ ছিল এখানে। একসময় মিনি ইউরোপ ছিল গঙ্গার পশ্চিমপারের হুগলি জেলা। চন্দননগরে (Jagadhatri puja- Chandannagar) বাণিজ্যর জন্য এসেছিল তারা। বোড় চাঁপাতলার মণ্ডপসজ্জায় সেই সব ইতিহাসের কথাই তুলে ধরা হয়েছে। মণ্ডপের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তৈরি করা হয়েছে কাঠের প্রতিমা। প্রায় ন’মাস ধরে মেহগনি গাছের গুঁড়িকে কেটে নিখুঁতভাবে জগদ্ধাত্রী প্রতিমা তৈরি হয়েছে এখানে।
এ-প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট পুজো কমিটির কর্মকর্তা মৃদুল দাস বলেন, প্রতি বছরই দর্শনার্থীদের জন্য নতুন কিছু করার চেষ্টা করি। এই বছর আমরা মণ্ডপের পাশাপাশি প্রতিমায় চমক এনেছি। মেহগনি গাছের গুঁড়িকে কেটে জগদ্ধাত্রী মূর্তি গড়েছেন ভাস্কর পল্লব জানা। তবে পুজোর জন্য রীতি মেনে তৈরি করা হয়েছে সাবেকি প্রতিমাও। কাঠের জগদ্ধাত্রী প্রতিমা চন্দননগরে প্রথম বলেই দাবি করেছেন তিনি। পুজো শেষে মেহগনি প্রতিমা সংরক্ষণ করা হবে বলেও জানানো হয়েছে কমিটির পক্ষ থেকে।
চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো জগৎ বিখ্যাত। শুধু চন্দননগরেই দেড়শো পুজো হয়। বিশাল প্রতিমা, শোভাযাত্রা এবং আলোকসজ্জা— এই তিনের মেলবন্ধনই চন্দননগরের জগদ্ধাত্রীর ইউএসপি। যদিও এখন অনেক থিমের মণ্ডপ তৈরি হয়। তবু চন্দননগরের আলোর কারিকুরি দেখতেই রাজপথে ভিড় জমান দর্শনার্থীরা।
আরও পড়ুন- ছটপুজোয় দু’দিন ছুটি রাজ্যে, কেন্দ্র কেন দেয় না : মুখ্যমন্ত্রী