মহানবমীতে চনন্দনগর ও কৃষ্ণনগরে জনসমুদ্র, রানির ১১ টাকার অনুদানে পুজো

রানির ১১ টাকার অনুদানে পুজো

Must read

অনুরাধা রায়: রাজবাড়ি থেকে ১১ টাকা না এলে পুজো হয় না। রানিমার দেওয়া অনুদানেই হয় পুজো। কৃষ্ণনগরের (Krishnanagar- Jagadhatri Puja) মালোপাড়ার জগদ্ধাত্রী পুজোয় আজও রয়েছে সেই রীতি। ২৫০ বছরের ইতিহাস আঁকড়ে একই নিয়মে আরাধনা হয় জগৎ-জননীর। এটি কৃষ্ণনগরের প্রাচীনতম বারোয়ারি পুজো। বুধবার মহানবমীর তিথিতে জগদ্ধাত্রী পুজোয় (Krishnanagar- Jagadhatri Puja) ছিল সেই পুরনো জৌলুস। জানা যায়, জোড়া নৌকার মাঝখানে রাজরাজেশ্বরীকে রেখে এক অদ্ভুত কায়দায় মালোরা দেবীকে ভাসান দিতে নিয়ে যেতেন। এভাবে দীর্ঘদিন চলে আসার পর এলাকার মৎস্যজীবীরা তাঁদের পাড়ায় পুজোর জন্য রাজার কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন। রাজা কৃষ্ণচন্দ্র পুজোর প্রচারে এবং অনুগত প্রজাদের কথা রাখতে জগদ্ধাত্রী আরাধনার অনুমতি দেন। রাজবাড়ি থেকে প্রতিমার কাঠামো তৈরির কাঠ এবং পুজোর খরচের জন্য দেন ১১ টাকা। আজও সেই ধারা অব্যাহত। জয়রামবাটিতে সারদা মায়ের মা শ্যামা সুন্দরীদেবী যে জগদ্বাত্রী পুজোর প্রচলন করেছিলেন, সেই প্রথা মেনে মালো বারোয়ারির পুজো শুরু হয়। অষ্টমীর রাতে ছেলেরা মহিলাদের বেশে জলসাজার অনুষ্ঠান করেন। জল ও জাল নিয়ে মৎস্যজীবীদের কাজ। তাই মালোপাড়ার প্রতিমার অপর নাম জলেশ্বরী। সাবেকি ঘরানার সুষমা মণ্ডিত এই প্রতিমার মুখে আলাদা এক মাহাত্ম্য বিরাজ করে। মালোপাড়ার এই পুজোর কৃষ্ণনগরে আরও অনেকগুলি জগদ্ধাত্রী পুজো হয়। চন্দননগরে চারদিনের পুজো হলেও, এখানে নবমী তিথিতে একদিনেই চারদিনের পুজো হয়। কৃষ্ণনগরের কাঁঠালপোতা বারোয়ারির পুজোয় জগদ্ধাত্রী ছোট মা নামে পূজিতা হন।

আরও পড়ুন-জগদ্ধাত্রী পুজোয় বেলুড়ে ভক্তদের উপচে পড়া ভিড়

Latest article