প্রতিবেদন : আর একবছরের মধ্যেই দিঘা হয়ে উঠবে তীর্থক্ষেত্র। পুরীর মতো সমুদ্রের সঙ্গে মানুষ এখানে জগন্নাথ দর্শনও করতে পারবেন। বাংলার বুকে এই নতুন জগন্নাথধাম বদলে দেবে পূর্ব মেদিনীপুর জেলাকে। এবার দিঘায় পা রেখেই বঙ্গবাসী বলবে, জয় জগন্নাথ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে দিঘা হয়ে উঠতে চলেছে জগন্নাথধাম। প্রায় কুড়ি একর জায়গা জুড়ে গড়ে উঠছে বিশ্বের সবথেকে বড় জগন্নাথদেবের মন্দির। মঙ্গলবার নির্মীয়মাণ মন্দিরের কাজ ঘুরে দেখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন হিডকোর চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন, চণ্ডীপুরের বিধায়ক সোহম চক্রবর্তী। মন্দিরের কাজের অগ্রগতি নিয়ে সন্তুষ্ট মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, একবছরের মধ্যে নির্মাণকাজ শেষ হবে। একইসঙ্গে বর্তমান আবহে তাঁর প্রাসঙ্গিক ও ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য, ‘‘একে বলে ধর্ম যা মানবিকতা আনে।”
আরও পড়ুন-যান্ত্রিক ত্রুটি ইন্ডিগোর বিমানে, জরুরি অবতরণ হায়দরাবাদে
এদিন, দিঘার হেলিপ্যাড ময়দানে বুথকর্মী সম্মেলনের পর দিঘা স্টেশনের কাছে নির্মীয়মাণ মন্দিরে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নাট মন্দির-সহ কয়েকটি জায়গার কাজ ঘুরে দেখার পর মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এক বছরের মধ্যেই কাজ শেষ হবে। এই মন্দিরের উচ্চতা পুরীর মন্দিরের সমান হবে। তবে, বিগ্রহ পুরীর মতো নিমকাঠের না হয়ে, করা হবে মার্বেলের। হিডকো এই কাজটা করছে।
কিছুদিন আগে তাঁর ওড়িশা সফরে সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক পুরীর মন্দিরের যে রেপ্লিকাটি দিয়েছিলেন সেটি দিঘার মন্দিরেই রাখছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুরীর দয়িয়াপতি যে ছবি দিয়েছিলেন তাও সেখানে দেন তিনি।
আরও পড়ুন-প্রবল গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জের, কর্নাটকে আটকে বিজেপির প্রার্থী তালিকা
গত একবছর ধরে কয়েকশো কর্মী মন্দির তৈরির কাজ করছেন। এই মন্দির তৈরি হয়ে গেলে বদলে যাবে দিঘা তথা পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পুরো চালচিত্রটাই। যেভাবে পুরীতে একসঙ্গে সমুদ্র ও জগন্নাথ দর্শন দুই-ই করতে পারেন পুণ্যার্থীরা, দিঘাতেও তাই হবে। এখন যা ভিড় হয় এরপর মন্দিরের টানে পুজো দেওয়ার জন্য সারা বছর লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী আসবেন। আমূল বদলে যাবে এই জেলার অর্থনৈতিক চেহারাটাই। অনেকেই নানা কারণে পুরী গিয়ে উঠতে পারেন না। এবার থেকে তাঁরা দিঘা এসে বলতে পারবেন, জয় জগন্নাথ। আড়ে-বহরে পুরীর মন্দিরের থেকেও অনেক বড় হতে চলেছে এই মন্দির। রথ রাখার জায়গাও তৈরি হচ্ছে।