নয়াদিল্লি : খোদ রাজধানীতেই চলছে জঙ্গলরাজ৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণে থাকা দিল্লি পুলিশের ব৵র্থতা প্রকট৷ আইন-শৃঙ্খলার ক্রমাবনতির নতুন তথ্য থেকেই জঙ্গলরাজের ছবিটা আরও স্পষ্ট৷ গত শনিবার দিল্লি পুলিশের সদর দফতরে পুলিশ কমিশনার রাকেশ আস্থানা বিশেষ পুলিশ কমিশনার, যুগ্ম কমিশনার এবং ১৫টি পুলিশ জেলার ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন। মূল আলোচ্য বিষয় ছিল দিল্লিতে ক্রমশ বাড়তে থাকা ছিনতাই, চুরি ও ডাকাতির মতো অপরাধ। এছাড়াও মহিলাদের নিরাপত্তাহীনতাও অন্যতম বিষয়৷
আরও পড়ুন-হার মৌমার, চল্লিশেও খেতাব শরতের
আলোচনায় পেশ করা তথ্য অনুযায়ী, দিল্লিতে গত এক মাসে ৭৫২টি অর্থাৎ গড়ে প্রতিদিন ২৪টি ছিনতাইয়ের ঘটনা রিপোর্ট করা হয়েছে। গত বছরের একই সময়ের মধ্যে এই সংখ্যাটি ছিল ৫৯৭। তথ্য অনুসারে, গত চার মাসে ১,৭৪৬ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ১,২৩৭ জন প্রথমবারের অপরাধী। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ২০ এপ্রিল পর্যন্ত প্রথম চারমাসে দিল্লিতে মোট ৩,০৬৩টি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ২,৮৯৯৷ গত বছর ৭৩৫টি ডাকাতির ঘটনা ঘটলেও এ বছর তা বেড়ে হয়েছে ৮৯০৷ বাড়িতে চুরি–ডাকাতির মতো অপরাধ গত বছর ছিল ১,৫৭৮৷ এ বছর মাত্র কয়েক মাসেই সেই সংখ্যাটা ৪,৭৪৯৷ অর্থাৎ অপরাধের রেখাচিত্র লক্ষণীয়ভাবে ঊর্ধ্বমুখী৷ এই বছরের ২০ এপ্রিল পর্যন্ত এসব ঘটনায় ১,৭৪৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যার মধ্যে ১,২৩৭ জন প্রথম-সময়ের অপরাধী এবং ৫০৯ জনের অপরাধমূলক রেকর্ড রয়েছে।
আরও পড়ুন-কলকাতা আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের মঞ্চ থেকে আসানসোলবাসীকে ধন্যবাদ জানালেন শত্রুঘ্ন সিনহা
শুধুমাত্র ডাকাতি মামলায় ১,৫২৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ যাদের মধ্যে ১,০৩২ জন প্রথমবারের অপরাধী এবং ৪৯৪ জনের পুরনো রেকর্ড রয়েছে। বাড়িতে চুরি-ডাকাতির মামলায় ১,২৩৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ এর মধ্যে ৮৯৭ জন প্রথমবারের অপরাধী এবং ৩৩৭ জনের অপরাধমূলক পুরনো রেকর্ড রয়েছে। অর্থাৎ, শুধু অপরাধ সংঘটিত করাই নয়, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর মন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণাধীন দেশের রাজধানীতে অপরাধীর সংখ্যাও লাফিয়ে বাড়ছে। ২৪ মার্চ থেকে ২০ এপ্রিলের মধ্যে এক মাসের পর্যালোচনায় দেখা যাচ্ছে, বেশ কয়েকটি জেলায় গত বছরও ছিনতাইয়ের ঘটনা কম থাকলেও চলতি বছরে তা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে৷ মোদি জমানায় অর্থনীতি বিপন্ন, কর্মসংস্থানের হার নিম্নমুখী, আর সেই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে বেড়ে চলেছে অপরাধ৷ আলোচনায় পেশ করা তথ্যপঞ্জি অনুযায়ী ছিনতাই মামলার সমাধানের হার ৫২%, সামগ্রী পুনরুদ্ধার ১৭%; ডাকাতি মামলার সমাধানের হার ৯১% এবং পুনরুদ্ধার ৫৩%। চুরির ক্ষেত্রে পুনরুদ্ধার মাত্র ১০%।