রাজ্যপালের ক্ষমতা খর্ব করতে বিল পেশ, বাংলার পথে সরব তামিলনাড়ু

অবিজেপি রাজ্যগুলিতে নির্বাচিত রাজ্য সরকারকে নানাভাবে বিরক্ত করতে কার্যত বিজেপির প্রতিনিধির ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন রাজ্যপালরা৷

Must read

প্রতিবেদন : অবিজেপি রাজ্যগুলিতে নির্বাচিত রাজ্য সরকারকে নানাভাবে বিরক্ত করতে কার্যত বিজেপির প্রতিনিধির ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন রাজ্যপালরা৷ নরেন্দ্র মোদি জমানায় এটাই অবিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির স্বাভাবিক চিত্র হয়ে উঠেছে৷ পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, কেরল, মহারাষ্ট্র সর্বত্রই সংঘাত বাধছে রাজ্যপাল ও রাজ্য সরকারের মধ্যে৷ এক্ষেত্রে রাজ্য সরকারগুলির অভিযোগ, রাজ্যপালকে দিয়ে কেন্দ্রের মোদি সরকার রাজ্যের কাজে সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে চাইছে। এই সূত্রে অনেকেই রাজ্যপাল পদের প্রয়োজনীয়তা ও কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।

আরও পড়ুন-রাজধানীতে জঙ্গলরাজ, শাহর হাতে থাকা দিল্লি পুলিশ ব্যর্থ, তথ্য প্রকাশ

এবার রাজ্যপালের ক্ষমতা খর্ব করার পথে এক ধাপ অগ্রসর হল তামিলনাড়ুর ডিএমকে সরকার। রাজ্যপালের ক্ষমতা খর্ব করতে সোমবার তামিলনাড়ু বিধানসভা একটি বিল পেশ করা হয়েছে। এই বিলে রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করার যে ক্ষমতা রাজ্যপালের হাতে রয়েছে তা কেড়ে নেওয়ার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। এই মুহূর্তে কেরলের রাজ্যপাল আর এন রবি রাজ্য, কেন্দ্রীয় ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়ে উটিতে দু’দিনের এক সম্মেলন করছেন। ঠিক তখনই তামিলনাড়ু বিধানসভায় সরকারের আনা এই প্রস্তাব অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

আরও পড়ুন-হার মৌমার, চল্লিশেও খেতাব শরতের

এই প্রস্তাবের পক্ষে বলতে গিয়ে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন এদিন বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারের ক্ষমতা সীমিত। ফলে উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার উপর একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। সে কারণেই আইন সংশোধনের ভাবনা। নতুন আইনের বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী গুজরাতের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজ্য গুজরাতে রাজ্য সরকারের একটি কমিটি রয়েছে। ওই কমিটি তিনজনের নাম চূড়ান্ত করে। যার মধ্য থেকে একজনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, চিরাচরিত প্রথা অনুযায়ী সরকারের পরামর্শ অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ করেন রাজ্যপাল।

কিন্তু বিগত কয়েক বছর ধরে এক নতুন প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। রাজ্যপালরা এমন আচরণ করছেন যা দেখে মনে হয় উপাচার্য নিয়োগ করা তাঁদের অধিকার ও দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। এটা একটি নির্বাচিত সরকারের পক্ষে অসম্মানজনক। রাজ্য সরকারকে অপদস্থ করতেই রাজ্যপাল এ ধরনের আচরণ করছেন। তাই এই আইন বদল করা দরকার। ইতিমধ্যেই কর্নাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানায় উপাচার্য নিয়োগ পদ্ধতিতে বদল করা হয়েছে বলে স্ট্যালিনের দাবি। পশ্চিমবঙ্গেও এই একই কাজ করতে দেখা যাচ্ছে এখানকার রাজ্যপালকে৷

Latest article