চন্দ্রযান ৩-এর ক্যামেরা সিস্টেমের দায়িত্বে ছিলেন উত্তরপাড়ার জয়ন্ত

এদিকে আনন্দে মেতে ওঠেন শিবপুরের ইনসা এরাজের বাড়ির মানুষ। কারণ ইসরোর মহাকাশ বিজ্ঞানীদের সঙ্গে ছিলেন ইনসা এরাজও।

Must read

সংবাদদাতা, হুগলি : চন্দ্রযান ৩-এর প্রজ্ঞান রোভার চাঁদের মাটি স্পর্শ করতেই দেশ জুড়ে উচ্ছ্বাসের বন্যা শুরু হয়। আর সেই মুহূর্ত থেকে যে নেভিগেশন ক্যামেরা চাঁদের ছবি পাঠানো শুরু করে। সেই সিস্টেমের মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন উত্তরপাড়ার বাসিন্দা জয়ন্ত লাহা। ফলে ভারতের এই গর্বে যুক্ত হয়েছে হুগলি জেলার নামও। ৯ বছর ধরে ইসরোতে কর্মরত উত্তরপাড়ার বিকে স্ট্রিটের জয়ন্ত। গোটা দেশের সঙ্গে তাই খুশিতে মেতেছে উত্তরপাড়া-সহ হুগলির মানুষ।

আরও পড়ুন-পশ্চিমবঙ্গ দিবস চাপিয়ে দেওয়া নয়, আলোচনা চান মুখ্যমন্ত্রী

উত্তরপাড়া সরকারি স্কুলের ছাত্র জয়ন্ত শিবপুর কলেজ থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে কানপুরে আইআইটি করেন। ২০০৯-এ ইসরোতে যোগ দেন। বাবা প্রশান্ত লাহা অবসরপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী। মা চন্দনা গৃহবধূ। চন্দ্রযানের সাফল্যের কথা জানার পরেই জয়ন্তদের বাড়ি যান উত্তরপাড়ার পুরপ্রধান দিলীপ যাদব। তাঁর বাবা-মাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে মিষ্টিমুখ করান তিনি। লাহাবাড়ির সামনে ভিড় জমান অগুনতি মানুষও। প্রত্যেকেই এসেছিলেন শুভেচ্ছা জানাতে। প্রশান্তবাবু বলেন, ‘ছেলে ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় ভাল। দেশের উন্নতির কথা সব সময় ভাবত। চন্দ্রযান ৩ চাঁদের মাটি ছুঁয়েছে। চাঁদের মাটিতে উড়ছে ভারতের পতাকা। চাঁদের সমস্ত ছবি সকলে দেখতে পাচ্ছেন। চন্দ্রযান ৩-এর নেভিগেশন বা ক্যামেরা সিস্টেমের মুখ্য ভূমিকায় ছিল ছেলে।’ মা চন্দনা বলেন, ‘ছেলের অবদানের কথা ভাবতেই আলাদা আনন্দ হচ্ছে। ও দেশের জন্য অনেক কাজ করুক, দেশের নাম আরও উজ্জ্বল করুক।’ পুরপ্রধান দিলীপ যাদব বলেন, ‘গোটা বিশ্ব ভারতবর্ষের সঙ্গে উত্তরপাড়ার নামও জানবে। এলাকার মানুষ হিসাবে এটা আমাদের গর্বের বিষয়।’

আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে নাবালিকার বাড়িতে

এদিকে আনন্দে মেতে ওঠেন শিবপুরের ইনসা এরাজের বাড়ির মানুষ। কারণ ইসরোর মহাকাশ বিজ্ঞানীদের সঙ্গে ছিলেন ইনসা এরাজও। তাঁর মা নীলুফার পরভিন বলেন, ‘ছেলে ইসরোতে বিজ্ঞানী হিসেবে কর্মরত প্রায় ৬ বছর।’ নবান্নের অদূরেই তাঁদের ফ্ল্যাটে বুধবার সন্ধ্যায় শুভ মুহূর্তে আসতেই বাবা মহম্মদ কামালুদ্দিন ও মা নীলুফার প্রতিবেশীদের মিষ্টিমুখ করিয়ে আনন্দে মেতে ওঠেন।

Latest article