নতুন করে দিঘায় সাজিয়ে তোলা হচ্ছে ‘জুরাসিক পার্ক’ (Jurassic park)। ফলে লাইট অ্যান্ড সাউন্ডের বিশেষ পদ্ধতিতে ডাইনোসরের সেই ভয়ঙ্কর ডাক আবার শুনতে পাবেন পর্যটকরা। আর এমন খবরে খুশির হাওয়া দিঘার পর্যটক মহলে। ২০১০ সালে নিউ দিঘার বিজ্ঞান কেন্দ্রের পিছনের অংশে একটি বড় জায়গা নিয়ে এই বিনোদন পার্ক গড়ে তোলা হয়। নাম দেওয়া হয় ‘জুরাসিক পার্ক’ (Jurassic park)। সেখানে ডাইনোসরের উৎপত্তি, তার জীবনযাত্রা থেকে শুরু করে সবকিছুই লাইট অ্যান্ড সাউন্ড পদ্ধতির মাধ্যমে প্রদর্শনীর ব্যবস্থা ছিল। ডাইনোসর যে পরিবেশের মধ্যে ঘোরাফেরা করে, তার উপযোগী জঙ্গলের পরিবেশ তৈরি করা হয়েছিল। পর্যটকরা এবং বিজ্ঞানের ছাত্রছাত্রীরা যাতে ডাইনোসরের জীবনযাত্রা সম্পর্কে জানতে পারেন, সেই কারণেই এমন জুরাসিক পার্ক চালু করা হয়েছিলো। সেই জুরাসিক পার্ক পর্যটকদের মধ্যে যথেষ্ট সাড়া ফেলেছিল। বিশেষ করে সন্ধের সময় জঙ্গলের মধ্যে সাউন্ড ও লাইট এফেক্ট এর মধ্যে ডাইনোসরগুলোর হাঁটাচলা বা মুভমেন্ট কিংবা ডাক দেখতে বহু পর্যটক এবং বিজ্ঞানের ছাত্রছাত্রীরা সেখানে ভিড় জমাতেন। পর্যটকদের জন্য দেওয়ালে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরা হয়েছিল। তবে পার্কটি রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ডাইনোসরের মডেলগুলি ভেঙে পড়েছে। পার্কের সহায়ক বেশকিছু কাঠামো ভাঙাচোরা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। মাঝে ‘যশ’ ও ‘আমফান’ ঘূর্ণিঝড়ের পর পার্কটির অবস্থা আরও বেহাল হয়।সংস্কারের অভাবে দীর্ঘদিন বেহাল হয়ে পড়েছিল পার্কটি। পর্যটকদের পক্ষ থেকে পার্কটিকে ফের নতুন করে চালু করার দাবি তোলা হয়।সেই দাবি মেনে এবার ফের নতুন করে দিঘা সায়েন্স সেন্টারে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা জুরাসিক পার্ককে -ঢেলে সাজিয়ে চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। উল্লেখ্য, দিঘায় ওড়িশা সীমান্তের কিছুটা আগে অবস্থিত সায়েন্স সেন্টারের ক্যাম্পাসের মধ্যে রয়েছে জুরাসিক পার্ক। এখন প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা ছাড়াও উৎসাহী পর্যটকেরা দিঘা সায়েন্স সেন্টারে ভিড় জমান। জুরাসিক পার্ক না দেখতে পেলেও, পর্যটকরা এখানে থাকা স্পেস অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোনমি সেন্টার, ইনোভেশন হাব, ফান সায়েন্স, ম্যাজিক ট্যাপ, ভুলভুলাইয়ার মতো বিজ্ঞান বিষয়ক নানা আকর্ষণীয় বিষয় উপভোগ করেন। এর আগে সেন্টারের সায়েন্স গ্যালারিকে নতুন করে সাজানো হয়েছিল। এছাড়া সায়েন্স পার্কও চালু হয়েছে। সায়েন্স সেন্টারের কিউরেটর নিরঞ্জন গুপ্ত বলেন, “আমরা জুরাসিক পার্কটি নতুন করে সাজিয়ে আবার শুরু করার পরিকল্পনা নিয়েছি। বেশকিছু নতুন মডেল বসানো হবে। পার্কটি সংস্কার করা হবে। লাইট অ্যান্ড সাউন্ড সিস্টেমকে আরও উন্নত করা হবে। আশা করা যায় নতুন বছরের শুরুর কয়েক মাসের মধ্যে পর্যটকদের জন্যে জুরাসিক পার্কটি চালু করে দেওয়া যাবে।”
আরও পড়ুন- যুদ্ধ জয় করতেই কি দেশে গাঁজা সেবন বৈধ করল ইউক্রেন?