আজ বাংলা ক্যালেন্ডারে (Calendar) নতুন বছর ১৪৩০। কিন্তু প্রবল গরমে তপ্ত বাংলা। কিন্তু দেখা গেল ৪২ ডিগ্রি গরমকে তোয়াক্কা না করে রাস্তায় নেমে পড়েছেন অগণিত মানুষ। নতুন জামা, গঙ্গাস্নান, হালখাতা কিছুই বাদ যাচ্ছে না। রাজ্যজুড়ে চলছে মিষ্টিমুখ, গান এবং আড্ডা। আজ বছরের প্রথম দিনে ভিড় দেখা যাচ্ছে কালীঘাট থেকে দক্ষিণেশ্বর, লেক কালীবাড়ি থেকে তারাপীঠ । লম্বা লাইন বুঝিয়ে দিচ্ছে বছরের প্রথম দিন মায়ের পুজো দিয়ে শুরু করতেই হবে।
আরও পড়ুন-নববর্ষে দুর্গাপুর পুলিশ ফাঁড়িতে আগুন, সকালে পুড়ে ছাই নথিপত্র
আজ, শনিবার সকাল থেকে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে লম্বা লাইন পড়েছে। কমপক্ষে দু’ ঘণ্টা অপেক্ষা করে পুজো দিতে হচ্ছে। কালীঘাটে শনিবার সকাল থেকেই দেখা যাচ্ছে ভক্তদের লম্বা লাইন। হাজার হাজার মানুষ অপেক্ষায় আছে বছরের প্রথম দিন মায়ের দর্শন পেতে। বছর ভাল কাটার প্রার্থনা নিয়েই ভোর থেকে ভিড় উপচে পড়ছে দক্ষিণেশ্বর–তারাপীঠে।
আরও পড়ুন-পয়লা বৈশাখে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা, মৃত বহু কিশোর
আজ সকাল থেকে মঙ্গলারতি দিয়ে তারাপীঠে তারা মায়ের পুজো শুরু হয়। বছরের প্রথম দিনে সকাল থেকে মন্দিরে পুজো দিতে আসছেন পুণ্যার্থীরা। ব্যবসায়ীরা হালখাতার পুজো দিচ্ছেন। তবে এবারের গরমটা একটু অন্যরকম তবু দেখা যাচ্ছে নতুন পোশাক পরে পুজো দিতে এসেছেন বহু মানুষজন। নতুন বছরের জন্য শুভকামনা নিয়ে পুজো দিচ্ছেন তাঁরা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গতকাল অমিত শাহ বীরভূমে এলেও তারাপীঠে যাননি। তিনি সন্ধ্যায় দক্ষিণেশ্বর গিয়েছিলেন। পুজোও দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন-সভাস্থলে আচমকা বিস্ফোরণ, কোনমতে রক্ষা পেলেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী
সব মিলিয়ে দক্ষিণেশ্বরে পুজো দেওয়ার লাইন বালি ব্রিজ ছাড়িয়ে গিয়েছে। তারাপীঠে প্রায় ১০ হাজার মানুষের ভিড়। কালীঘাট মন্দিরে পুজো দেওয়ার লাইন বড় রাস্তায় এসে পৌঁছেছে। তবে জমজমাট নববর্ষ তো বটেই।