মিতা নন্দী, ঝাড়গ্রাম: পুজোয় পর্যটক আকর্ষণে নতুন করে সাজছে চিলকিগড়ের কনকদুর্গা মন্দির। মুখ্যমন্ত্রীর তৎপরতায় কয়েক কোটি টাকা খরচে আকর্ষণীয় করে তোলা হচ্ছে জঙ্গল ঘেরা বাংলার এই পর্যটনস্থল। সংস্কার হচ্ছে মন্দির, চণ্ডীমণ্ডপ, ভোগের ঘর,অতিথি নিবাস ইত্যাদি। তৈরি হচ্ছে শৌচালয়, যাত্রী আবাস। মন্দির চত্বরে বসেছে ম্যাট টাইলস।
আরও পড়ুন-রেকর্ড জয়ে আসানসোলবাসীর অকুণ্ঠ প্রশংসা আপ্লুত শত্রুঘ্নের
প্রবেশপথ সুন্দর করে তোলা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। গাছগাছালি আর ডুলুং নদীতে ঘেরা এই গড়জঙ্গলেই রাত কাটাতে পারবেন পর্যটকরা। মন্দিরের কাছেই তৈরি হচ্ছে পর্যটক আবাস। বিদ্যুৎ এসে গিয়েছে আগেই। পুরোহিত কৌশিক ষড়ঙ্গি বলেন, মন্দিরে পর্যটক আসা বেড়েছে। এবার প্রায় পাঁচশো বছরের রীতি মেনে পুজো হচ্ছে দেবী কনকদুর্গার। পুরনো প্রথা মেনে এখনও চিলকিগড় রাজার প্রাচীন খাঁড়াকে সামনে রেখে ও ডুলুংয়ের জল এনে পুজোর সূচনা হয়। গড় জঙ্গলের মাঝে স্থায়ী মন্দিরে অশ্বারোহিনী চতুর্ভুজা দেবী কনকদুর্গা দুর্গা রূপে পূজিত হন এখানে। নবমী বাদে দেবীর দৈনিক পুজোর আমিষ অন্নভোগ হয়। থাকে ডিম আর মাছ।
আরও পড়ুন-১৫ দিনে সোমনাথকে ভর্তির নির্দেশ দিল উচ্চ আদালত
দশমীতে অন্নভোগে থাকে পান্তাভাতের সঙ্গে মাছপোড়া, শাকভাজা। প্রথা অনুযায়ী চিলকিগড় মন্দিরে অষ্টমীর রাতে পাতাল কুয়োর সামনে একটি পাঁঁঠাবলি হয়। নবমীতে হয় মোষবলি। নবমীর অন্নভোগের আগে অষ্টমীর নিশাবলির মাংস মাটির হাঁড়িতে রেখে সিদ্ধ করা হয়। পরে সেটি বিরাম কক্ষে রাখা হয়। তাই একে বিরাম ভোগ বলা হয়। লোকশ্রুতি, রানি গোবিন্দমণি দেবী এই বিরাম ভোগের প্রবর্তন করেন মন্দিরে দেবীর পুজোয়। সেই থেকে আজও চলছে এই রীতি।