প্রতিবেদন : ২৪ ঘণ্টাও কাটল না। শুরু হয়ে গেল কাজ। পূর্ব মেদিনীপুরের দরিয়াপুরের কপালকুণ্ডলা মন্দির নিয়ে তৎপর হল রাজ্য হেরিটেজ কমিশন। মন্দিরকে কেন্দ্র করে পর্যটনের বড় সম্ভাবনা রয়েছে বলেই মনে করেন কমিশনের চেয়ারম্যান আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই মঙ্গলবার কমিশনের তরফে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসকের কাছে ওই মন্দির ও আশপাশের এলাকার পর্যটনের সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন-রেলের চাকরিতে প্রতারণাচক্র
এর আগে সোমবারই বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের স্মৃতিবিজড়িত দরিয়াপুরে অবহেলায় পড়ে থাকা কপালকুণ্ডলা মন্দিরের ভগ্নদশার কথা সামনে এসেছিল। কাঁথির সভা সেরে ওই মন্দির দেখতে গিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ ও রাজ্য আইএনটিটিইউসি-র সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের পেয়ে মন্দিরের দশার কথা তুলে ধরেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মন্দির ও মন্দির সংলগ্ন এলাকা ঘুরে দেখেন দু’জনে। ওই চত্বরে দাঁড়িয়েই মন্দির সংস্কার নিয়ে তৎপর হন কুণাল। সংশ্লিষ্ট মহলের কাছে অনুরোধ জানান তিনি। তারপর ২৪ ঘণ্টাও কাটল না। তৎপর হল কমিশন। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসককে লেখা চিঠিতে কমিশন জানিয়েছে, ২০০৫ সালে হেরিটেজ তকমা পাওয়া ওই মন্দির ও মন্দির সংলগ্ন এলাকা খুব ভাল অবস্থায় নেই।
আরও পড়ুন-মুখ ঢেকেছে দিল্লির আকাশ, ট্রেন ও সড়কপথে যান চলাচলে সমস্যা
মন্দির ও এলাকার পরিকাঠামো উন্নয়নে নজর দেওয়া প্রয়োজন। পেটুয়াঘাট বন্দরের খুব কাছে থাকা এই মন্দিরকে কেন্দ্র করে পর্যটনের বিরাট সম্ভাবনা রয়েছে বলেই মনে করে কমিশন। তা মাথায় রেখে মন্দিরে যাওয়া-আসার রাস্তা আরও কীভাবে উন্নত করা যায় তা নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট চাইল তারা। মন্দিরকে কেন্দ্র আরও ওই এলাকার আরও কীভাবে উন্নতি করা যায় তাও জানাতে বলা হয়েছে জেলাশাসককে।