সৌমালি বন্দ্যোপাধ্যায়: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরামর্শের পরে ইতিমধ্যেই উলুবেড়িয়ার বণিকসভার উদ্যোগে কাশের বালিশ ও বালাপোশ পরীক্ষামূলকভাবে তৈরি করা হয়েছে। এবার সেই প্রক্রিয়াকে আরও ভালভাবে বাস্তবায়িত করতে পদক্ষেপ নেওয়া হল হাওড়ার সাঁকরাইলে।
আরও পড়ুন-জগদ্ধাত্রী পুজোয় মেতে উঠল মহানগরী কলকাতাও, সপ্তমীতে জনজোয়ার চন্দননগরে
স্থানীয় ব্লক প্রশাসনের তরফে চলতি মরশুমে প্রচুর পরিমাণে কাশের বালিশ, বালাপোশ তৈরির লক্ষ্যে বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রচুর পরিমাণে কাশফুল সংগ্রহ করা হল। সাঁকরাইলের ধুলাগোড়, দুইল্যা, সারেঙ্গা, নলপুর প্রভৃতি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা থেকে চলতি মরশুমে ওই কাশফুল সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কাজে এলাকায় ১৬টি স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে নিয়োগ করা হয়েছে। ওই স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে কাশের বালিশ, বালাপোশ প্রভৃতি সামগ্রী তৈরির বরাত দেওয়া হয়েছে। এই জন্য হাওড়া জেলা শিল্প কেন্দ্রের তরফে ওই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছে। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ২৫ কেজির মতো কাশফুল সাঁকরাইল এলাকায় সংগ্রহ করা হয়েছে। তা নিয়ম মেনে সংরক্ষণ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন-ভিড় সামলাতে সারারাত ট্রেন
এগুলি দিয়ে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ওই সদস্যরাই বালিশ, বালাপোশ, তোষক প্রভৃতি তৈরি করবেন। সেইসঙ্গে কাশফুল ঝাড়াইয়ের সময় ফুলগুলি তুলোর মতো আলাদা হয়ে যাওয়ার পর বেঁচে থাকা শিসগুলিকেও কাজে লাগানো হবে। শিসের ওই কাঠিগুলিকে শুকিয়ে তা দিয়ে মাদুর ও চাটাই তৈরি করা হবে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমেই এগুলিও তৈরি করা হবে। হাওড়া জেলা শিল্প দফতরের জেনারেল ম্যানেজার অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘‘এই কাজের জন্য আমরা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। সাঁকরাইল ব্লক থেকে এই কাজ শুরু হয়েছে। জেলার অন্যান্য ব্লকেও এই কাজ চলবে। কাশের বালিশ বা বালাপোশ তৈরির মূল উপাদান কাশফুল একেবারে বিনামূল্যে পাওয়া যাচ্ছে। আর সেই ফুল থেকে বিশেষ পদ্ধতিতে এই কাশ বালিশ, তোষক তৈরি হবে। এই কাজ করার জন্য স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।”