মণীশ কীর্তনিয়া: কোভিডের পর এবার পুজোয় সর্বাঙ্গীণভাবে মেতে উঠেছে বাঙালি। ইউনেস্কোর হেরিটেজ স্বীকৃতিতে ১ সেপ্টেম্বর কলকাতায় মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে ঐতিহাসিক শোভাযাত্রা ও রেড রোডের সমাবেশ তাক লাগিয়ে দেয় বাংলাকে। মুখ্যমন্ত্রীর কথা অনুযায়ী সেদিন থেকেই বাঙালির পুজো শুরু হয়ে গিয়েছে। মণ্ডপগুলিতে চূড়ান্ত ব্যস্ততা। নাওয়া-খাওয়া ভুলে কাজ করছেন শিল্পীরা।
আরও পড়ুন-পুজোর মুখে সমুদ্রগড় হাটে বিক্রি তুঙ্গে, খুশি তাঁতিরা
তাল মিলিয়ে পুজোর আগেই জোরকদমে বাজারে নামছে খাদি। কলকাতা-সহ রাজ্যের ৫টি জায়গায় নতুন আউটলেট খুলতে চলেছে। বাজারে আসছে জনতা খাদি। মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তদের কথা মাথায় রেখে, সর্বোপরি আমজনতার কাছে জনপ্রিয় ও সহজলভ্য হওয়ার লক্ষ্যে কোমর বেঁধে তৈরি হচ্ছে খাদি। সম্প্রতি খাদির বোর্ড মিটিংয়ে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে খাদি বোর্ডের চেয়ারম্যান বিধায়ক কল্লোল খাঁর উদ্যোগে। ঠিক হয়েছে মায়াপুরে ইসকন, তারাপীঠ, পাথরচাপড়ি, ব্যান্ডেল চার্চ এবং কলকাতার ভবানীপুর গুরদোয়ারায় আউটলেট খুলবে সংস্থা। চেষ্টা চলছে মহালয়ার আগেই ইসকন ও ভবানীপুরের আউটলেট খোলার। শিলিগুড়ি ও রাজারহাট নিউটাউনেও আউটলেট খোলার জন্য জায়গা দেখা হয়েছে।
আরও পড়ুন-বৃদ্ধার জরায়ু থেকে বের হল দুই কেজির টিউমার
নাকাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়কের হাত ধরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে খাদি। একসময় লাভজনক ও জনপ্রিয় হলেও একশ্রেণির কর্মীদের অলস মানসিকতা-দুর্ব্যবহার-কর্মসংস্কৃতি না থাকার জেরে ক্রমশ পিছিয়ে পড়ে। সময়ের চাহিদা মেনে একশ্রেণির কর্মীদের নিজেদের বদলাতে না চাওয়া খাদিকে ঠেলে দেয় খাদের কিনারায়। এই অবস্থা থেকে টেনে তুলতে চাইছেন চেয়ারম্যান কল্লোল খাঁ। দীর্ঘদিনের বাস্তুঘুঘুর বাসা ভাঙতে শুরু করেছেন তিনি। তাঁর সাফ কথা, মুখ্যমন্ত্রী ভরসা করে দায়িত্ব দিয়েছেন, তাঁর মর্যাদা রক্ষা করব। প্রথম বোর্ড মিটিংয়েই বদলি নীতি চালু করেন তিনি। এক-একজন অফিসার দীর্ঘদিন একই পোস্টে-একই জায়গায় থেকে গিয়েছেন। তাঁদের বদলির ব্যবস্থা হয়েছে।
আরও পড়ুন-লাভজনক ফেরো স্ক্র্যাপ বেচে দিচ্ছে কেন্দ্র, আন্দোলনে তৃণমূল
বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এবার পুজোর মরশুমে কম দামে আমজনতার কাছে সস্তায় খাদির জামা-কাপড় পৌঁছে দেবে। তাতে খাদির চিরাচরিত পোশাকের পাশাপাশি থাকবে মসলিন শাড়ি-ধুতি-পাঞ্জাবি-সহ একাধিক আইটেম। নাম ‘জনতা খাদি’। খাদির দাম সাধারণত একটু বেশি। ফলে অনেকেই কিনতে পারেন না। চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেয়ে এটা নিয়ে ভেবেছেন কল্লোলবাবু। আধিকারিকদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছেন। কথা বলেছেন তাঁতিদের সঙ্গেও। সবদিক বিচার করে গুণমান বজায় রেখে কম দামে এবার খাদিকে তাঁরা আনতে চলেছেন আমজনতার নাগালে।