খুলে গেল কোদোপাল প্রকৃতি ভ্রমণকেন্দ্র

দু’দিকের প্রকৃতিকে মনের মণিকোঠায় ধরে রাখার জন্য রয়েছে দুটি ওয়াচ টাওয়ার। বিডিও বলেন, ওয়াচ টাওয়ারে উঠে লক্ষ করা যায় সুন্দর প্রকৃতিকে।

Must read

মিতা নন্দী, ঝাড়গ্রাম : সাঁকরাইলের কোদোপালের প্রকৃতি ভ্রমণকেন্দ্রে পর্যটকদের থাকার জন্য বুকিং শুরু হয়েছে। মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশের মাঝে এই পর্যটক আবাস। এদিন সাঁকরাইলের বিডিও রথীন বিশ্বাস জানিয়েছেন, শুরু হয়ে গেছে কোদোপাল কটেজে থাকার বুকিং। একদিকে ডুলুং নদী আর উল্টোদিকে সুবর্ণরেখা নদী। এর মাঝে গড়ে উঠেছে বিশাল চর। কোদোপালের সবুজে মোড়া সেই চরে সাঁকরাইল প্রশাসনের উদ্যোগে তৈরি হয়েছে এক ভ্রমণকেন্দ্র।

আরও পড়ুন-পরিবারপিছু ২ লাখ রাজ্যের

সঙ্গে রয়েছে রাত কাটানোর সাজানো গোছানো কটেজ। রাজ্য সরকারের পর্যটন দফতরের সহযোগিতায় সাঁকরাইল পঞ্চায়েত সমিতি ও ব্লক প্রশাসন মিলে চরের ৩২ হেক্টর জায়গার ওপর পর্যটকদের জন্য এই প্রকৃতি ভ্রমণকেন্দ্রটি গড়ে তোলা হয়েছে। সাঁকরাইলের বিডিও রথীন বিশ্বাস বলেন, ‘‘২০১১-১২ সালে এই প্রকৃতি ভ্রমণকেন্দ্রটির কাজ শুরু হলেও করোনা পরিস্থিতি আর কিছু সংস্কারমূলক কাজের জন্য ভ্রমণকেন্দ্রটির বুকিং বন্ধ রাখা হয়েছিল। এখন নতুন করে সাজিয়ে তোলার পর পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হল।’’ ঝাড়গ্রাম শহর থেকে প্রায় ৪৭ কিলোমিটার এবং খড়গপুর থেকে প্রায় ৪২ কিলোমিটার দূরে কোদোপাল প্রকৃতি ভ্রমণকেন্দ্র।

আরও পড়ুন-বাড়ি ফিরবে না ১৯ শ্মশানযাত্রী

কোদোপালকে ফলের বাগান, মূল্যবান ভেষজ উদ্ভিদের বাগান, চিলড্রেন পার্ক, খোলা মঞ্চ ও আদিবাসী নারীদের নৃত্যরত মূর্তি আর মাদল বাদনরত পুরুষের মূর্তি দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। সোলার আলোয় আলোকিত হয় পুরো চত্বর। সাজানো চত্বরের দু’দিকে চারটি করে মোট আটটি কটেজ করা হয়েছে। এক-একটি কটেজে দুটি করে শয্যা। নদীর চরে সবুজের মাঝে সপ্তাহের দুটো দিন কাটানোর দারুণ জায়গা। মনোরম এর প্রাকৃতিক পরিবেশ। সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত এখানে দারুণ।

আরও পড়ুন-বিএসএফের মদতে দুষ্কৃতীরা চালায় লুঠপাট

দু’দিকের প্রকৃতিকে মনের মণিকোঠায় ধরে রাখার জন্য রয়েছে দুটি ওয়াচ টাওয়ার। বিডিও বলেন, ওয়াচ টাওয়ারে উঠে লক্ষ করা যায় সুন্দর প্রকৃতিকে। এখানে পর্যকটদের জন্য হোম ডেলিভারির ব্যবস্থা রয়েছে। সেখান থেকে খাবার পাওয়া যাবে। একটা কটেজে একটা রাত কাটানোর জন্য ভাড়া দু’হাজার টাকা। সাঁকরাইলের ব্লক হেড কোয়ার্টার রোহিণী। সেখান থেকে মাত্র দু’কিলোমিটার দূরে কোদোপাল প্রকৃতি ভ্রমণকেন্দ্র। ফেয়ার ওয়েদার সেতুর কাজ চলছে। মাঝের ডুলুং নদীর জল নৌকায় পেরিয়ে চরে পৌঁছনো যায়। আর পুরো এলাকাটা ঘুরে দেখার জন্য এখানে টোটোর ব্যবস্থা রয়েছে। এখন বুকিংয়ের জন্য সাঁকরাইল পঞ্চায়েত সমিতির ৮৭৯০২৪৪৫০১ এই নম্বরে ফোন করা যেতে পারে।

Latest article