ফের শহরে দলছুট দাঁতাল

মানুষের প্রায় দিন কাটছে হাতির ত্রাসে। রবিবার সাতসকালে ফের এক দলছুট হাতি দাপিয়ে বেড়াল বাঁকুড়ার অন্যতম প্রাচীন পুর শহর সোনামুখীর অলিগলি।

Must read

সংবাদদাতা, বাঁকুড়া : দাঁতাল হাতির আতঙ্ক কাটছে না কিছুতেই বাঁকুড়াবাসীর। মানুষের প্রায় দিন কাটছে হাতির ত্রাসে। রবিবার সাতসকালে ফের এক দলছুট হাতি দাপিয়ে বেড়াল বাঁকুড়ার অন্যতম প্রাচীন পুর শহর সোনামুখীর অলিগলি। সোমবার সকালে ঘুম থেকে উঠেই বাড়ির সামনে বিশালাকার গজরাজকে দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন শহরবাসী।

আরও পড়ুন-খুলে গেল কোদোপাল প্রকৃতি ভ্রমণকেন্দ্র

তবে কোনওরকম ক্ষয়ক্ষতি না করেই কিছু পরে হাতিটি শালি নদী পেরিয়ে স্থানীয় একটি ইটভাটা হয়ে শহরের বুড়োশিবতলা, বেলতলা, বড় কার্তিকতলা, রুদ্রপাড়া হয়ে ফের সোনামুখীর জঙ্গলে ঢুকে যায়। প্রসঙ্গত, বেশ কিছুদিন ধরেই বড়জোড়া ও সংলগ্ন জঙ্গল থেকে খাবারের খোঁজে বেরিয়ে বাঁকুড়ার সোনামুখী, বেলিয়াতোড় প্রভৃতি লোকালয়ে যখন-তখন হানা দিয়ে চলেছে বড়সড় এক দাঁতালের দল। দলটিতে প্রায় ৫৬টি ছোট-বড় হাতি রয়েছে বলে বন দফতরের তরফে খবর।

আরও পড়ুন-পরিবারপিছু ২ লাখ রাজ্যের

এরা আচমকাই লোকালয়ে ঢুকে পড়ে খেত-জমি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, কৃষকদের কষ্টার্জিত পরিশ্রমের ফসল তছনছ করছে, এমনকী গৃহস্থের ভাঁড়ার পর্যন্ত সাফ করে দিয়ে চলে যাচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, হাতির মুখে পড়ে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে আগে সোনামুখীতেই। চলাচলের পথে জাতীয় সড়কের উপর দাঁড়িয়ে পড়ে যান চলাচলও রুখে দিয়েছে হাতি, এও ঘটতে দেখা গিয়েছে। দলটিকে জঙ্গলে তাড়িয়ে ফেরাতে বনকর্মীরা পর্যন্ত হিমশিম খাচ্ছেন। ওই দলেরই একটি হাতি রবিবার দলছুট হয়ে সোনামুখীতে ঢুকে পড়ে ফের আতঙ্ক ছড়ায়। ফলে জেলার মানুষ হাতির ভয়ে এখন সদাতটস্থ। তাঁদের গজাতঙ্ক যেন পিছু ছাড়ছে না কিছুতেই। যদিও পরিস্থিতির দিকে বন দফতরের সতর্ক নজর রয়েছে।

Latest article