প্রতিবেদন : তখন ঝিরঝিরে বৃষ্টিতে ট্রাফিক সচল রাখতে বেহালা ট্রাম ডিপোর সামনে ব্যস্ত ডায়মন্ড হারবার ট্রাফিক গার্ডের সার্জেন্ট অশোক মিস্ত্রি ও কনস্টেবল সুব্রত ব্রহ্মচারী। গত রবিবার। সকাল গড়িয়ে দুপুরের পথে, এই সময় মৃদু কোলাহল কানে আসে অশোক মিস্ত্রির। কী ব্যাপার? ট্রাম ডিপোর সামনে জটলা করছেন কিছু উদ্বিগ্ন পথচারী। দ্রুত পা চালিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনি দেখেন, পথের ওপরেই শুয়ে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন এক গর্ভবতী মহিলা। উপস্থিত পথচারীদের একজন বলেন, হেঁটে যেতে যেতে হঠাৎ পেটে হাত দিয়ে বসে পড়েন ওই মহিলা, এবং যন্ত্রণায় কাতরাতে শুরু করেন।
আরও পড়ুন : বাবা-ভাইকে সাংসদ পদ ছাড়তে বলো, ইস্তফা দিয়েই বাবুলের নিশানায় শুভেন্দু
পরিস্থিতি বুঝে নিজে উদ্বিগ্ন হলেও ঠাণ্ডা মাথায় দ্রুত বিদ্যাসাগর হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করেন অশোক মিস্ত্রি। এবং ব্যবস্থা করেন একটি অ্যাম্বুলেন্সের। সেই অ্যাম্বুলেন্সে করে মহিলাকে হাসপাতালে নিয়ে যান সুব্রত ব্রহ্মচারী। এবং কর্তৃপক্ষের সহায়তায় তাঁকে দ্রুত ভর্তি করানো হয়। ওদিকে অশোকবাবু তখন একাই ট্রাফিক সামলাচ্ছেন, এমন সময় ফোন বেজে ওঠে এবং ওপার থেকে সুব্রতবাবু জানান, নিরাপদেই সন্তানের জন্ম দিয়েছেন মহিলা, মা ও শিশু দুজনেই সুস্থ।
ডিউটি শেষে বাড়ি ফেরার আগে হাসপাতালে একবার মা ও শিশুকে দেখেও আসেন অশোকবাবুও। কলকাতা পুলিশের এমন মানবিক মুখ সত্যি শহরবাসীকে গর্বিত করবে।