প্রতিবেদন : ভোরের আলো ফোটার আগেই ওঁদের ব্যস্ততা শুরু হয়েছিল ঠাকুর দেখতে যাওয়ার। কেমন দেখতে হয় মা দুর্গা? সাকিনা, কাকলিরা শুনেছেন মা দুর্গা ত্রিনয়নী। দশটি হাত। গণেশের শুঁড় আছে। কার্তিকের বাহন ময়ূর। আর লক্ষ্মী, সরস্বতীর অপূর্ব রূপ। ওঁদের জীবনে এসেছে বহু দুর্গাপুজো। মণ্ডপেও গিয়েছেন, নতুন পোশাকও পরেছেন। কিন্তু দেখেননি দশভুজাকে। কারণ ওঁরা দৃষ্টিহীন।
আরও পড়ুন-নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠক ৭ই
কাকলি, সাকিনাদের মতো আরও ৩০ জন প্রথম ঠাকুর দেখলেন শুক্রবার। তাঁদের অনুভব-শক্তি দিয়ে। কুমোরটুলিতে নিজের হাতে প্রতিমা ছুঁয়ে দেখলেন তাঁরা। মা দুর্গার দশ হাতে কোন কোন অস্ত্র থাকে বোঝার জন্য প্রতিমার হাতে দেওয়া হয় অস্ত্রও। বারবারই তাঁদের হাত পৌঁছেছে মা দুর্গার চোখে। যেন দু’হাত দিয়ে অনুভব করার চেষ্টা। এই মুহূর্তে তাঁদের মুখে ছিল আনন্দের ঝিলিক। সৌজন্যে ‘সল্টলেক কালচারাল সোসাইটি’। দৃষ্টিহীনদের হাতের কাজের প্রশিক্ষণ দেয় ‘ওয়াকশপ ফর দ্য ব্লাইন্ড’ নামে একটি সংস্থা।
আরও পড়ুন-বিরোধী দলনেতার মুখ পুড়ল সুপ্রিম কোর্টেও
ওই সংস্থারই শিক্ষার্থী, সদস্যদের নিয়ে সল্টলেক কালচারাল সোসাইটি পৌঁছে গিয়েছিল কুমোরটুলি। সংস্থার সচিব কল্যাণ মিত্র বলেন, ‘বাংলার দুর্গোৎসব ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেয়েছে। এ-বছর আমাদের সংস্থা ৫০ বছরে পড়ল। দুটিরই উদযাপন আমরা করতে চেয়েছিলাম একটু অন্যভাবে। তাই দৃষ্টিহীনদের প্রতিমা অনুভব করাতেই পৌঁছে গিয়েছিলাম কুমোরটুলি।