কুণাল ঘোষের নতুন উপন্যাস প্রকাশ করলেন ব্রাত্য বসু

Must read

প্রতিবেদন : কুণাল ঘোষের (kunal ghosh) নতুন বই ”সংকেত” (Sanket) প্রকাশিত হল। এদিন রাজ্য বিধানসভা ভবনে (Assembly House) এই বই প্রকাশ করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দীপ প্রকাশনের (Deep Prakashan) কর্ণধার শঙ্কর মন্ডল, দীপ্তাংশু মন্ডল, সাংবাদিক অভিজিৎ ঘোষ।

এদিন বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “কুনাল ঘোষ আমার রাজনৈতিক সহকর্মী। এছাড়াও তিনি বিশিষ্ট সাংবাদিক ও লেখক। তাঁর উপন্যাস ‘সংকেত’ প্রকাশ করতে পেরে আমিও খুশি। এখানে প্রকাশক সংস্থার কর্ণধারও আছেন।”

বইটি সম্পর্কে বলতে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী জানান, “সংকেত উপন্যাসটির মধ্যে একটি ইতিহাস ধর্মিতা রয়েছে। যেখানে লেখক কুনাল ঘোষ রাধা-কৃষ্ণের চিরন্তন বিরহের বিষয়টি আধুনিককালে ফেলে একটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে চেয়েছেন। এবং একইসঙ্গে একটি প্রতিশোধের আখ্যান দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। সবমিলিয়ে এই উপন্যাস পড়ে আমার যেটা মনে হয়েছে, লেখক এই উপন্যাসের মাধ্যমে ধর্মকে মানুকে খোলা চোখে চেনাতে শিখিয়েছেন।”

কুণালের বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে ব্রাত্য বসু রবীন্দ্রনাথ প্রসঙ্গ টেনে বলেন, রবীন্দ্রনাথ চাইতেন রামায়ণের মতো পুরাণকে মর্ম কাব্যে দেখতে। নরচন্দ্রমা অর্থাৎ রাম, রবীন্দ্রনাথ এখানে ‘নর’-কে প্রাধান্য দিতেন। আর ভারতীয় জনতা পার্টি ইদানীংকালে যেটা করে বেড়াচ্ছে সেটা মুর্খামি। তারা রাম, রামায়ণ, সীতার পাতাল প্রবেশ কিছুই জানে না। বিজেপি ধর্মকে কাব্যগুণ-এ না দেখে রাজনৈতিক গুনে বের করার চেষ্টা করছে।

এরপরই ব্রাত্য বসু ত্রিপুরায় বিপ্লব দেব সরকারের ফ্যাসিস্ট মনোভাবকে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “ইদানিংকালে, আপনারা দেখেছেন, ত্রিপুরায় রামায়ণকে কেন্দ্র করে কুণাল ঘোষ-এর উপর ভুয়ো মামলা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। আসলে বিজেপি রাম, রামায়ন কিছুই বোঝে না। তবে আমরা আশাবাদী, রাধা-কৃষ্ণ নিয়ে উপন্যাস প্রকাশের পর কুণাল ফের যখন ত্রিপুরা যাবে, তখন নিশ্চয়ই রাধা-কৃষ্ণ নিয়ে কিছু বলবে। এবং সেটা বিজেপি বুঝতে না পেরে নিজেদের ফের গোটা দেশের সামনে হাসির খোরাক করবে। রামায়ণ এবং কৃত্তিবাস ওঝার রামায়ণ অর্থাৎ বাঙালির রামায়ন বিজেপি বোঝে না।”

অন্যদিকে, নিজের বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে কুনাল ঘোষ বলেন,
“আমি প্রথমে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী, বিশিষ্ট নাট্যকার ব্রাত্য বসুকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি বইটা আনুষ্ঠানিক ভাবে পাঠকের কাছে তুলে ধরার জন্য। ধন্যবাদ জানাচ্ছি দ্বীপ প্রকাশনার কর্নধার শঙ্কর মন্ডল এবং দীপ্তাংশু মন্ডলকে। এবং ভাতৃপ্রতিম সাংবাদিক অভিজিৎ, যিনি আমাদের জাগো বাংলার বার্তা সম্পাদকও বটে। আমরা রাধা-কৃষ্ণ বলতে সাধারণত বুঝি মথুরা এবং বৃন্দাবন। কিন্তু নন্দগাঁও, বার্সানা বলে দুটি গ্রাম আছে ওখানে, যেখানে অনেক অকথিত কাহিনী লুকিয়ে আছে। মথুরা বৃন্দাবনের বিচারে উপেক্ষিত থেকে গেছে নন্দগাঁও, বার্সানা। সে জায়গায় দাঁড়িয়ে প্রেক্ষিত তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে।”

প্রসঙ্গত, কুণাল ঘোষের এই নতুন উপন্যাসটি দীপ প্রকাশনে পাওয়া যাচ্ছে। সেই সঙ্গে ফ্লিপকার্ট এবং অ্যামাজনের মাধ্যমেও কিনতে পারবেন পাঠকরা।

Latest article