প্রতিবেদন : কর্মক্ষেত্রে বদলি নিয়ে অসন্তোষের জেরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, বিকাশ ভবনের সামনে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করা পাঁচ শিক্ষিকার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে পুলিশ। পুলিশের কাজে বাধা, আত্মহত্যার চেষ্টা, সরকারি নির্দেশ অমান্য-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আত্মহত্যার চেষ্টা দুর্ভাগ্যজনক বলে মঙ্গলবার মন্তব্য করার পর বুধবার টুইট করেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ ।
টুইটার হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “কারও রাজনৈতিক প্ররোচনায় পা দেবেন না। বাম আমলে পঞ্চায়েত দপ্তরে উপেক্ষিত, অনিশ্চিত ছিলেন। অবসরকালীন সুবিধে ছিল না। কিন্তু, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের আমলে ২০২০-র ১ ডিসেম্বর থেকে সহায়কদের বিদ্যালয় শিক্ষায় এনে সুসংহত চেহারা দেওয়া হয়ে।”
আরও পড়ুন : এএফসি’র কথা ভেবে কলকাতা লিগে নেই সবুজ মেরুন
শিক্ষিকাদের বিষপান করে আত্মহত্যার এই অপচেষ্টাকে ইস্যু করে রাজ্যের শাসকদলকে কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা। কুণাল ঘোষ বলেন, সমালোচনা করার আগে এই তথ্যগুলি জেনে নিন বিরোধীরা। বাম আমলে শিক্ষকদের অবস্থার কথা স্পষ্ট করে লেখেন কুণাল।
পরের টুইটে কুণাল লেখেন, “সহায়কদের সাম্মানিক বাড়ানো হয়েছে। সবাই স্বাস্থ্যসাথীর আওতায়। ৬০ বছরে অবসরে এককালীন টাকা। অবসরের পর পিএফ। এছাড়া, মাতৃত্বকালীন ছুটি, বছরে ১৮ দিন ছুটি। বাম জমানার সঙ্গে তুলনায় স্পষ্ট, এখন বহু ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। সেখানে প্ররোচনামূলক আন্দোলনের প্রশ্ন কোথায়? রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই এসব হয়। যিনি মুখ্যমন্ত্রীর সভায় বিশৃঙ্খলা তৈরি করেন, তিনিই বিকাশ ভবনের দৃশ্যে। এসব সত্যি হলে গোটাটাই চক্রান্ত। সরকার কাজ করছে, করতে দিন।” এর সঙ্গে আন্দোলনকারী এক শিক্ষিকার দুটি ছবি পোস্ট করেন কুণাল।
আরও পড়ুন : নবরূপে আত্মপ্রকাশ করবে রবীন্দ্র সরোবর
বিজেপিশাসিত ত্রিপুরায় কাজ হারিয়েছেন 10 হাজারের বেশি শিক্ষক। সে কোথাও টুইটারে তুলে ধরে গেরুয়া শিবিরকে কটাক্ষ করেন কুণাল।