মর্গ থেকে বিজেপি কর্মীর দেহ বের করতে গিয়ে সমস্যা। পুলিশের বিরুদ্ধে এনওসি নিয়ে টালবাহানার অভিযোগ ওঠে । দেহ লোপাটের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন মৃত বিজেপি কর্মীর পরিবার।আদালতের নির্দেশে কাঁকুড়গাছির মৃত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের দেহ সৎকারকে কেন্দ্র করে এনআরএস হাসপাতালের মর্গে এক প্রকার উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এই অবস্থায় হোমগার্ডকে চড় মারলেন বিজেপি নেতা দেবদত্ত মাজি!
আরও পড়ুন- নাটকীয়ভাবে কোর্টে আগাম হাজির কুণাল, ইডি মামলায় পেলেন জামিন
দেহ সৎকার নিয়ে এনআরএস হাসপাতালের মর্গে আজ সকাল থেকেই উত্তেজনা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে যায়। হোমগার্ডকে চড় মেরে বসলেন বিজেপি নেতা দেবদত্ত মাজি।
দেহ লোপাটের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলে মৃত বিজেপি কর্মীর পরিবার। কিন্তু থানার তরফে এনওসি দেওয়া হলে বিজেপি কর্মীর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। কিন্তু তারপর থেকেই হাসপাতালে বিজেপি নেতার হোমগার্ডকে চড় মারা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। দেবদত্ত প্রথমে চড় মারেননি বলে দাবি করেন যদিও পরে সেটা স্বীকার করেছেন।
আরও পড়ুন- দিদির দেওয়া পাঞ্জাবি পরেই দিদির ভোট প্রচারে মদন মিত্র
এই মর্মে দেবদত্তর কাজে সায় দিয়েছেন দলের রাজ্য সভাপতি। ‘হোমগার্ডকে মেরে ঠিক করেছে’, মন্তব্য করে বসলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি এদিন আরো প্রশ্ন তোলেন, একজন হোমগার্ডের এত ক্ষমতা হয় কীভাবে? তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ যদিও জানিয়েছেন নিম্নরুচির পরিচয় দিচ্ছেন দিলীপ ঘোষ ।
একজন বিজেপি নেতা কর্তব্যরত পুলিশকে থাপ্পড় মারলেন আর সেখানে রাজ্য সভাপতি সেটা নক্কারজনকভাবে সায় দিচ্ছেন। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করলেন তৃণমূল কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব। ফিরহাদ হাকিম, তাপস রায় ও কুণাল ঘোষরা বলেন দলীয় নেতার যদি এরকম মনভাব হয় তবে কর্মীরা তো আইন হাতে তুলে নেবেই। সরকারি কর্মীর গায়ে হাত তোলার জন্য দেবব্রত মাজিকে অবিলম্বে গ্রেফতার করা উচিত বলে মন্তব্য করেন তারা