প্রতিবেদন : মিথ্যাচারের রাজনীতি করতে গিয়ে ক্রমশ প্যান্ডোরার বাক্স খুলে নিজেকেই হাস্যাস্পদ করে তুলেছে গদ্দার অধিকারী৷ বুধবার পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারের শেষ পর্বে এসে ২০২০ সালে উপমুখ্যমন্ত্রিত্বের মনগড়া অফারের মিথ্যে প্রসঙ্গ আনে। এরপরই তৃণমূলের (TMC) পক্ষ থেকে গদ্দারের দলত্যাগের আসল কারণ উল্লেখ করে মুখোশ খুলে দেওয়া হয় লোডশেডিংয়ে জেতা তথাকথিত বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari)। উপমুখ্যমন্ত্রিত্বের অফারের কথা দূর অস্ত, এই ধরনের কোনও পরিকল্পনা কোনওদিন তৃণমূল কংগ্রেসে ছিল না। গদ্দারের বিরুদ্ধে ততদিনে সিবিআই এফআইআর করে দিয়েছে। এরপর গ্রেফতারি এড়াতে দলবদল করে। এখন পঞ্চায়েত ভোটের মুখে হালে পানি না পেয়ে হার নিশ্চিত বুঝে প্রলাপ বকছে। নিজেকে মহান দেখানোর চেষ্টা করছে। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh- Suvendu) বলেন, ১. উপমুখ্যমন্ত্রিত্ব নিয়ে শুভেন্দু যে কথা বলছে তা সম্পূর্ণ ভাঁওতা। এর থেকে বোঝা যাচ্ছে, এতদিন পর এই ধরনের প্রলাপ তখনই বকে যখন মাথাটা পুরো হতাশা ও অবসাদে চলে যায়। ২. উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ তৃণমূল (Kunal Ghosh- Suvendu) ওকে কখনও অফার করেনি। আসলে যেটা হয়েছিল, নারদা মামলায় সিবিআই যখন ওর নামে এফআইআর করে তখন গ্রেফতার হওয়ার ভয়ে ও আমাদের একজন নেতাকে বলে, উপমুখ্যমন্ত্রী পদটা দেওয়া যায় কি না! পদটি পেলে এই একটা সাংবিধানিক সুবিধা পাওয়া যায়। একটা রক্ষাকবচ পাওয়া যাবে। ৩. অধিকারী প্রাইভেট লিমিটেডের বাবা ও তিন ছেলেকে এত সব দেওয়া হয়েছে। তারপরও খালি দাও খালি দাও করে গেছে যাতে সিবিআই-ইডি থেকে বাঁচতে পারে। ৪. এখন এসব প্রলাপ বকছে। কারণ পূর্ব মেদিনীপুর সহ বাকি কয়েকটি জায়গায় প্রচার পর্বের শুরুতেই হেরে অঞ্চলে অশান্তি করতে চাইছে। ৫. আদি বিজেপি নেতৃত্ব বিদ্রোহ করে বসে আছে। শুভেন্দুর পতন এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। ভোটের ফলাফল বেরোলে দেখা যাবে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদ সহ সবটাই তৃণমূল কংগ্রেস জিতে নিয়েছে।
আরও পড়ুন- নিউটাউন থানায় এফআইআর অভিযোগকারিণীর