আসানসোল ও বালিগঞ্জ দুই কেন্দ্রেই উপনির্বাচনের ভরাডুবি বিজেপির। দুই কেন্দ্রেই বিজেপি-র হার অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রটি গত দুবার তাদের হাতেই ছিল। আর এদিকে বাবুল সুপ্রিয় যেহেতু বিজেপি থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করে বালিগঞ্জ কেন্দ্রে উপনির্বাচনে লড়াইয়ের ময়দানে নেমেছিলেন তাই বারবার তাঁকে কটাক্ষের সম্মুখীন হতে হয়েছিল। তবে একদিকে আসানসোলে লোকসভা উপনির্বাচনে তৃণমূলের শত্রুঘ্ন সিনহা জয়ী হয়েছেন ৩ লাখের বেশি ভোটে এবং বালিগঞ্জ বিধানসভাতেও বাবুল সুপ্রিয়র জয় ২০ হাজারেরও বেশি ভোটে।
আরও পড়ুন – লাখিমপুর কান্ডে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছেলের জামিন খারিজ করে আত্মসমর্পণের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
রাজ্যের বিষয় হোক বা শাসকদলের- যে কোনও কিছু নিয়ে টুইটার হ্যান্ডেলে খড়্গহস্ত হন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। কিন্তু আসানসোল লোকসভা ও বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের ভরাডুবির পরেও কোনও টুইট নেই অমিত মালব্য থেকে শুরু করে গেরুয়া শিবিরের রাজ্যের কোনও শীর্ষ নেতারই। শুধু তাই নয়, রাজ্যের দোষ খুঁজে সব সময় বিরোধী নেতাদের মতো টুইট করেন যে রাজ্যপাল, তিনিও এই বিষয় নিয়ে মৌন ব্রত পালন করছেন। আর এই নিয়ে টুইট করেই তাঁদের তীব্র খোঁচা দিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।
কুণাল ঘোষ টুইট করে (Kunal Ghosh) লেখেন, “জেতা আসানসোল তিন লাখে হার। বালিগঞ্জে জামানত জব্দ হয়ে তৃতীয়। কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন, কেন্দ্রীয় বাহিনী, মিডিয়ার সমর্থন, বিজেপির বড় বড় কথা সবই তো ছিল। কই, রাজ্যপালের টুইট কই? কই, শুভেন্দুর ডায়লগবাজি কই? কই, মালব্যর প্রলাপ কই? তৎকাল বিজেপির শোকসভা চলছে নাকি? নীরবতা পালন?”