নবনীতা মণ্ডল, নয়াদিল্লি: সরকারের বিভিন্ন দুর্নীতি ও বেনিয়ম ফাঁস করার ক্ষেত্রে তথ্য জানার অধিকার (আরটিআই) আইনের গুরুত্ব অপরিসীম। অথচ কেন্দ্রের বিজেপি সরকার নানাভাবে আরটিআই আবেদন করার বিষয়ে বাধা তৈরি করে চলেছে। অভিযোগ উঠেছে, কেন্দ্রীয় সরকারের ওয়েবসাইট থেকে গায়েব লক্ষাধিক আরটিআই আবেদন এবং সেই সম্পর্কিত তথ্য!
আরও পড়ুন-মিথ্যে বলছেন মোদি, লাদাখ ইস্যুতে তোপ দাগলেন রাহুল
এই খবর প্রকাশ্যে আসার পর আরটিআই কর্মীরা আরও অভিযোগ করছেন, মোদি সরকার তথ্য জানার অধিকার আইনের আবেদন নতুন করে গ্রহণ করছে না এবং পুরনো তথ্য গায়েব করে দিচ্ছে। ২০১৯ সালের আগে করা তথ্য জানার অধিকার আইনের জবাবের তথ্য ওয়েবসাইট থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন-মোদি-শি পার্শ্ববৈঠক, চিনের দাবি ওড়াল ভারত
গত বছর থেকে নতুন করে আরটিআই ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট খোলার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মোদি সরকার। কেন্দ্রের যুক্তি, ওয়েবসাইটের ওপর বিপুল পরিমাণে চাপ পড়ার কারণে নতুন করে নাম নথিভুক্ত করা স্থগিত রাখা হয়েছে। আরও বলা হয়, ওয়েবসাইট ব্যবহারকারীরা প্রতি ৬ মাসে একটিই আবেদন করতে পারবেন। এছাড়াও বর্তমানে যাঁদের এই ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট রয়েছে, তাঁদের নতুন করে ব্যক্তিগত তথ্য দিতে হচ্ছে। এই তথ্য না দেওয়া পর্যন্ত অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে না।
এদিকে আরটিআই কর্মীদের বক্তব্য, পুরনো তথ্য প্রত্যাহার করে নেওয়া সম্পর্কিত কোনও সরকারি নির্দেশিকা তাঁদের কাছে আসেনি। এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি কর্মিবর্গ মন্ত্রক। ২০১৩ সাল থেকে মোট ৫৮.৩ লক্ষ আরটিআই আবদেন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রক এবং বিভাগে। শুধুমাত্র ২০২২ সালেই ১২.৬ লক্ষের বেশি আরটিআই আবেদন করা হয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই এই ওয়েবসাইটটি ঠিকমত কাজ করছে না। সরকারের অভ্যন্তরের বিভিন্ন বিষয়ের তথ্য জানতে ২০০৫ সালে আরটিআই বা তথ্য জানার অধিকার আইন কার্যকর করে তৎকালীন ইউপিএ সরকার। যদিও ২০১৪ সালে মোদি সরকার গঠন হওয়ার পর থেকে এই আইনে আবেদন করার পরেও অনেক বিষয়ে কোনও সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। এছাড়া আরটিআই কর্মীদের নানারকমভাবে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে।