ব্যুরো রিপোর্ট : রাজ্যের দেড় কোটি মহিলা আগেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar) প্রকল্পের আওতায় এসেছেন। বুধবার আরও পাঁচ লক্ষ মহিলাকে এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করে আর্থিক সাহায্যদানের কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের (BGBS) মঞ্চ থেকে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়ারও সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেইমতো জেলায় জেলায় নতুন উপভোক্তাদের হাতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের চেক তুলে দেওয়ার অনুষ্ঠান হয়। রায়গঞ্জ বিধানমঞ্চে ভার্চুয়াল সভার মাধ্যমে জেলার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের উপভোক্তাদের হাতে চেক তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে ছিলেন উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসক অরবিন্দ কুমার মীনা, জেলা সভাধিপতি কবিতা বর্মন, ইসলামপুরের পুরপ্রধান কানাইয়ালাল আগরওয়াল প্রমুখ। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরই চেক তুলে দেন জেলাশাসক। আলিপুরদুয়ারে নতুন ৪৮ হাজার মহিলা অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় জেলায় মোট ২ লক্ষ ৭৮ হাজার মহিলা প্রকল্পের আওতায় এলেন। পুরসভার প্রেক্ষাগৃহে দেখানো হয় মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠান। ছিলেন জেলাশাসক সুরেন্দ্রকুমার মিনা, পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী, মহকুমা শাসক বিপ্লব সরকার, পুরপ্রধান প্রসেনজিৎ কর। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ৩ পুর এলাকা-সহ ৮টি ব্লকের ২৫০ মহিলার হাতে প্রকল্পের চেক তুলে দেয় জেলা প্রশাসন বালুরঘাটের বালুছায়া অডিটোরিয়ামে। ছিলেন সভাধিপতি, সহসভাপতি, জেলাশাসক প্রমুখ। জেলাশাসক আয়েশা রানি বলেন, জেলায় ৩৮ হাজার আবেদন জমা পড়ে এই প্রকল্পে, সবার আবেদন অনুমোদন হয়েছে। জেলায় এই প্রকল্পের সুবিধা পেতেন প্রায় ৩ লক্ষ। কোচবিহারের উপভোক্তা মহিলাদের হাতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের প্রতীকী চেক তুলে দেওয়া হয় উৎসব অডিটোরিয়ামের অনুষ্ঠানে। ছিলেন জেলাশাসক পবন কাদিয়ান, পুলিশ সুপার সুমিত কুমার, পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ প্রমুখ। জেলার ৯৪ হাজার নতুন উপভোক্তা। এঁদের ৫০০ জনকে মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছাবার্তা ও প্রতীকী চেক দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন-BGBS-এর মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী বললেন, দেশের মধ্যে নারী ক্ষমতায়নে নজির বাংলার
বহরমপুর রবীন্দ্রসদন প্রেক্ষাগৃহে মুর্শিদাবাদ জেলার নতুন ৯৫ হাজারেরও বেশি মহিলাকে প্রকল্পের (Lakshmir Bhandar) আওতায় আনা হয়। মুখ্যমন্ত্রীর সূচনার পর জেলা প্রশাসন উপভোক্তাদের হাতে প্রতীকী চেক তুলে দেয়। জেলাশাসক শরদকুমার দ্বিবেদী বলেন, জেলায় নতুন আরও ৯৫ হাজার ৮৬৭ জন এই প্রকল্পভুক্ত হলেন। আগে ১৪ লক্ষ ৫৮ হাজার ৬৩৪ জন মহিলা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আওতায় আসেন। উপভোক্তার কয়েকজনকে প্রতীকী চেক তুলে দেন তিনি। ছিলেন পুলিশ সুপার সবরী রাজকুমার, জঙ্গিপুরের পুলিশ সুপার ভোলানাথ পাণ্ডে ও অতিরিক্ত জেলাশাসক সিরাজ দানেশ্বর। বাঁকুড়া রবীন্দ্রভবনেও ৫০০ মহিলার হাতেও লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের চেক তুলে দেওয়া হল। এই জেলার নতুন ৮২ হাজার মহিলা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত হলেন বলে জানায় জেলা প্রশাসন। ছিলেন মন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডি, বিধায়ক অরূপ চক্রবর্তী, জেলা সভাধিপতি মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু, জেলাশাসক কে রাধিকা আইয়ার প্রমুখ। পূর্ব মেদিনীপুরের ২০ হাজার উপভোক্তার অ্যাকাউন্টে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের টাকা ঢোকে৷ এই উপলক্ষে জেলা প্রশাসন দিঘায় এক অনুষ্ঠানে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে (BGBS) মুখ্যমন্ত্রীর লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের টাকা দেওয়ার অনুষ্ঠান লাইভ দেখায়। ১৫০০ জনকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের চেক তুলে দেন মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি। ছিলেন জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি, রামনগর ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী শম্পা মহাপাত্র, বিডিও বিষ্ণুপদ রায়, কাঁথি ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রদীপ গায়েন। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, গত ফেব্রুয়ারি-মার্চে দুয়ারে সরকারে ১ লক্ষ ৫৭১২টি আবেদন জমা পড়ে। বৈধ আবেদনকারীদের অ্যাকাউন্টে টাকাও ঢোকে বুধবারই। আগের ১০ লক্ষ ২৮ হাজার ৬০৫ জনের তালিকায় যুক্ত হলেন আরও ১ লক্ষ ৩৬৩৩ জন।