সংবাদদাতা, বাঁকুড়া : হাতে ঘোরানো চাকার জায়গায় এসেছে বিদ্যুতের চাকা, গতি এসেছে কাজে। সামনে আলোর উৎসব দীপাবলি। বাঁকুড়া দু’ নম্বর ব্লকের সেন্দড়া গ্রামের কুমোরপাড়ায় চলছে মাটির প্রদীপ তৈরির কাজ। পূজোর প্রয়োজনীয় আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র তৈরির কাজ। পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পী গুঁইরাম কুম্ভকার জানান, বিদেশি বিদ্যুতিক টুনি মালার আলোর সঙ্গে সঙ্গে, মাটির প্রদীপের চাহিদা রয়েছে বেশ ভাল। তবে আগে যেমন সবাই মাটির প্রদীপই ব্যবহার করত, এখন সে তুলনায় চাহিদা কিছুটা কমেছে। আশার কথা, এখন মাটির প্রদীপ বিক্রি হচ্ছে সারা বছরই। হয়তো একটা বড় অংশের মানুষের আবার ধর্মকর্মে মতি ফিরেছে।
আরও পড়ুন-ডেঙ্গিতে আক্রান্ত সুব্রত হাসপাতালে
আক্ষেপ, মাটির জিনিস তৈরির কাজে আধুনিক বৈচিত্র এলেও তা পোড়ানোর কাজে সেভাবে আধুনিক ভাবনা এখনও গ্রহণ করা যায়নি। হয়তো গ্রামে পোড়ামাটির শিল্পীর সংখ্যা ধীরে ধীরে কমে যাওয়া বা সংঘবদ্ধ না থাকার কারণে। প্রদীপের পাশাপাশি কাজ চলছে, মাটির থালা, বাটি, গ্লাস, ধুনুচি, ঘট, সরা, প্রদীপদানি ইত্যাদি পূজার উপকরণ তৈরির। হাতে সময় কম, তাই শিল্পীর সঙ্গে কাজে হাত লাগিয়েছে তাঁর পরিবার, ছেলেমেয়ে। যদিও শিক্ষিত হয়ে ছেলেমেয়েরা আর এ পেশায় আসতে চাইছে না।