প্রতিবেদন : আইন যেন নিপীড়নের হাতিয়ার হয়ে না ওঠে। আইন যাতে ন্যায়বিচারের হাতিয়ার হয়ে ওঠে তা নিশ্চিত করা সকলের দায়িত্ব। একটি ইংরেজি দৈনিকের লিডারশিপ সামিটে এই মন্তব্য করলেন দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় (CJI DY Chandrachud)। প্রধান বিচারপতি বলেন, বিচার ব্যবস্থার কাছে নাগরিকদের প্রত্যাশা থাকাটা একটা ইতিবাচক দিক। কিন্তু আমাদের সীমাবদ্ধতার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান হিসেবে আদালতের ক্ষমতাও বুঝতে হবে। কখনও কখনও আইন এবং বিচার একই পথ অনুসরণ করে না।
আইন ন্যায়বিচারের একটি হাতিয়ার। কিন্তু কখনও কখনও আইন নিপীড়নের একটি হাতিয়ারও হয়ে উঠতে পারে। নিজের ভাষণে চন্দ্রচূড় বলেন, ঔপনিবেশিক সময়ের একাধিক আইন দমনের উপায় হিসাবে ব্যবহার করা হত।
আরও পড়ুন-“কলেজিয়ামের বিচারপতি নিয়োগের প্রক্রিয়া ঠিক”! দাবি করলেন ইউ ইউ ললিত
আইন কীভাবে ন্যায়বিচারের হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে সে বিষয়েও আলোকপাত করেন দেশের প্রধান বিচারপতি। তিনি (CJI DY Chandrachud) বলেন, আমি মনে করি, আইন পরিচালনায় শুধু বিচারকদের নয়, সকল সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীকে যুক্ত করা উচিত। করুণার ভাবনা, সহানুভূতির ভাবনা এবং নাগরিকদের কান্নায় সাড়া দেওয়ার ক্ষমতা দীর্ঘমেয়াদে বিচারক প্রতিষ্ঠানগুলিকে টিকিয়ে রাখে। বিচারকের আসনে বসা একজন যখন অশ্রুত কণ্ঠ শোনার ক্ষমতা রাখেন, অদেখা মুখগুলিকে অনুভব করতে পারেন এবং আইন এবং ন্যায়বিচারের মধ্যে ভারসাম্য বুঝতে পারবেন তখনই তিনি প্রকৃত বিচারক হয়ে ওঠেন।
চন্দ্রচূড় আরও বলেন, বর্তমানে বিচার ব্যবস্থার সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলির মধ্যে একটি সোশ্যাল মিডিয়া। কারণ আদালত কক্ষে একজন বিচারকের প্রতিটি ছোট শব্দের রিয়েল-টাইম রিপোর্টিং হচ্ছে। প্রতিটি মুহূর্তে একজন বিচারকের মূল্যায়ন হয়ে চলেছে। বর্তমানের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির কথাও আমাদের মাথায় রাখতে হবে। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের ভূমিকাও বদলাতে হবে।