সংবাদদাতা, নন্দীগ্রাম : নন্দীগ্রামে পদ্মশিবিরের ভাঙন যেন থামছেই না। ফের বিজেপি ও কংগ্রেস থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী। নন্দীগ্রামের সোনাচূড়া অঞ্চল যুব তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মিসম্মেলনে তাদের হাতে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় পতাকা তুলে দেন তমলুক সাংগঠনিক জেলার যুব তৃণমূল সভাপতি আজগর আলি। জানান, বিজেপির অপশাসনে আর কেউ থাকতে চাইছেন না। সবাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নযজ্ঞে শামিল হতে চাইছেন।
আরও পড়ুন-বিজেপির ডাকাতদের ক্ষমতায় আনবেন না
তাছাড়া ‘দিলীপ বিজেপি’, ‘শুভেন্দু বিজেপি’, ও ‘সুকান্ত বিজেপি’-র গোষ্ঠীবাজিতে পদ্মশিবির এখন জর্জরিত। কর্ণাটকের ভোটের ফলাফলের পর বাংলার আদি বিজেপি নেতারা বেশ হতাশ। তাই সকলে তৃণমূলে আসছেন। সোনাচূড়া হাইস্কুল মাঠে এই কর্মিসম্মেলনে গ্রামবাসীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। সোনাচূড়ার এই সম্মেলনে ছিলেন নন্দীগ্রাম ১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ ও অন্যান্য অঞ্চল তৃণমূল নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন-অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে নোংরা রাজনীতি বিরোধীদের
বাপ্পাদিত্য জানান, বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগদানটা নন্দীগ্রামে এখন রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই মাসের শেষেই আমাদের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সফরে আসছেন। তাঁর নন্দীগ্রামে আসারও সম্ভাবনা রয়েছে। তার আগে নন্দীগ্রাম বিজেপিতে এই ভাঙন যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। তৃণমূলে যোগদান করেই নন্দীগ্রামের গাংড়ার দুই বাসিন্দা তপন মণ্ডল ও উত্তম মণ্ডল জানান, বিজেপিতে এখন পুরনো কর্মীদের সম্মান নেই। লবিবাজিতে দলের মধ্যে ঘুণ ধরে গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শ আমাদের টেনেছে। তাই তৃণমূলে এলাম।