ব্যুরো রিপোর্ট : দুয়ারে সরকার-এর পাশাপাশি জেলায় জেলায় শুরু হল নতুন কর্মসূচি ‘চলো গ্রামে যাই’। এটি অবশ্য দলীয় কর্মসূচি। মঙ্গলবার থেকেই সূচনা হল। প্রতিটি বাড়ি যাবেন মহিলা তৃণমূল কর্মীরা। রাজ্য সরকারের জনমুখী প্রকল্পগুলির কথা বলবেন। তাঁদের সুবিধা-অসুবিধার কথা জেনে, সুরাহার চেষ্টা করবেন। এছাড়াও যেসব বুথে গত নির্বাচনে তৃণমূল কিছুটা পিছিয়ে ছিল, সেখানে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষকে বোঝানো হবে। হাওড়ায় ‘চলো গ্রামে যাই’ কর্মসূচির সূচনা করলেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
আরও পড়ুন-লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আওতাভুক্ত হতে মহিলাদের উপচে পড়া ভিড় শিবিরে
মঙ্গলবার দুপুরে আমতার মানকুরে যান চন্দ্রিমা। দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে সভা করেন। ছিলেন বিধায়ক সুকান্ত পাল, বিধায়ক রাজা সেন, ডাঃ নির্মল মাজি, বিদেশ বসু, প্রিয়া পাল প্রমুখ। সভা শেষে মানকুর এলাকার পাঁচ গ্রামবাসীর বাড়িতে গিয়ে কথা বলেন। কুশল বিনিময় করেন। মুখ্যমন্ত্রীর চালু করা জনমুখী প্রকল্পগুলি ঠিকঠাক পাচ্ছেন কি না খোঁজ নেন। মন্ত্রীকে সামনে পেয়ে আপ্লুত গ্রামবাসী চা খাওয়ার অনুরোধ করেন। মন্ত্রী উঠোনে বেঞ্চে বসে চা খেতে খেতে পারিবারিক আড্ডায় মেতে ওঠেন। বিকেলে চন্দ্রিমা আন্দুলে এই প্রকল্পের সূচনা করেন। সেখানেও সভা করেন। ছিলেন সাংসদ মালা রায়, বিধায়ক কল্যাণ ঘোষ, বিধায়ক নন্দিতা চৌধুরি, প্রাক্তন সাংসদ অর্পিতা চৌধুরি, সৈকত চৌধুরি প্রমুখ। এখানেও সভাশেষে তিনজনের বাড়িতে যান। প্রত্যেকেই মন্ত্রীকে জানান, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে শুরু করে সমস্ত প্রকল্পেরই সুবিধা তাঁরা পাচ্ছেন। উচ্ছ্বসিত চন্দ্রিমা জানান, ‘‘প্রথম দিনেই ভাল সাড়া পাচ্ছি। ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত ৭৫ দিন এই কর্মসূচি চলবে।’’ এই কর্মসূচির প্রচারে ডাঃ শশী পাঁজা, সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার, মালা রায়ের মতো হেভিওয়েট নেত্রীরাও প্রচারে নামবেন বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন-চন্দননগরের ‘বুড়িমা’কে বরণ করেন পুরুষরা
জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলার নবগ্রাম বিধানসভায় কর্মসূচিতে মহিলা জেলা সভাপতি হালিমা বিবি ছিলেন। জানালেন, ‘‘১০ জন করে মহিলা একটি করে বুথের দায়িত্বে থাকবেন। কেউ সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকলে তাঁদের দুয়ারে সরকার শিবিরে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।’’
আরও পড়ুন-বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাপ্য ৩০ কোটি টাকা দেয়নি কেন্দ্র, বললেন ব্রাত্য, যাদবপুরকে ২৮ কোটি দিয়েছে রাজ্য
সিউড়ি, রামপুরহাট ও বোলপুর মহকুমার সর্বত্র পৌঁছে যাচ্ছেন মহিলা তৃণমূল কর্মীরা। নলহাটি দুই ব্লকের ভদ্রপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের দাসপাড়ায় যান কর্মীরা। নলহাটি দুই ব্লকের মহিলা সভানেত্রী চন্দ্রাণী দত্ত বলেন, শুরুতেই দারুণ সাড়া মিলেছে।
নন্দীগ্রামে এর পাশাপাশি শুরু হল মহিলা পঞ্চায়েতি সভাও। পাশাপাশি পঞ্চায়েত নির্বাচনকে পাখির চোখ করে দেওয়াল লিখনও শুরু করে দিল তৃণমূল কংগ্রেস।