প্রতিবেদন : রাজ্যে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে ব্যাঙ্ক ঋণ গ্রহণ ও পরিশোধের নতুন রেকর্ড তৈরি হয়েছে। সদ্যসমাপ্ত ২০২২-২৩ আর্থিক বছরে ব্যাঙ্ক থেকে স্বল্প সুদে রেকর্ড পরিমাণ ঋণ নিয়েছেন বাংলার ৮ লক্ষ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ৮০ লক্ষ মহিলা। এ বছর ঋণ প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৭ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু সেই রেকর্ড ছাপিয়ে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের ২০ হাজার কোটি টাকারও বেশি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে বলে নারী শিশু ও সমাজ কল্যাণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। যা সর্বকালীন রেকর্ড।
আরও পড়ুন-বৃদ্ধির হার নামবে ৩ শতাংশের নিচে, পূর্বাভাস আইএমএফের
রাজ্যে এর আগে ২০১৭-১৮ আর্থিক বছরে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের সর্বোচ্চ ১৪ হাজার কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছিল। শুধুমাত্র ঋণ গ্রহণ নয়, যথাসময়ে তা পরিশোধের ক্ষেত্রেও রাজ্যের স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলো নজির তৈরি করেছে বলে ওই দফতরের তরফে দাবি করা হয়েছে। গত আর্থিক বছরে প্রতি স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে ২.১২ লক্ষ টাকা করে ঋণ প্রদান করা হয়েছিল। আগে যা ৭৫ হাজার টাকা ছিল। এই বিভাগে দেশের মধ্যে রাজ্য ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে।
আরও পড়ুন-মাঝ-আকাশে দরজা খোলার চেষ্টা বিমানযাত্রীর
মহিলাদের মধ্যে স্বনির্ভর হওয়ার প্রবণতা যে বাড়ছে, তা এই পরিসংখ্যান থেকেই স্পষ্ট বলে মত আধিকারিকদের। একই সঙ্গে তাঁরা এটাও মানছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দূরদর্শী পদক্ষেপ ও সিদ্ধান্ত আজ এই রেকর্ড গড়ার ক্ষেত্রে কার্যত অনুঘটকের কাজ করেছে। তাঁর জন্যই বাংলার মেয়েরা আজ এই রেকর্ড গড়তে পেরেছেন। গত আর্থিক বছরে কত টাকার ঋণ দেওয়া হবে, তার টার্গেট ঠিক করেছিল স্টেট লেভেল ব্যাঙ্কার্স কমিটি। সেই টার্গেট যাতে পূরণ হয় তার জন্যই রাজ্য সরকার নিরন্তর এই মহিলাদের উৎসাহ দিয়ে গিয়েছে। আর তার জেরেই এই রেকর্ড।
আরও পড়ুন-ডিভোর্সের জন্য মেলানিয়ার হয়ে সাক্ষ্য দিতে রাজি
শুরু থেকেই বাংলার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের ঋণ নিয়ে কাজ করার উৎসাহ ছিল তুঙ্গে। এখন এই মহিলাদের সরকারের নানা কাজে নিযুক্ত করা হচ্ছে। তার মধ্যে অন্যতম হল স্কুল ইউনিফর্ম তৈরির কাজ। শুধু তাই নয়, গোষ্ঠীর মহিলাদের তৈরি বাছাই করা কিছু সামগ্রী বিদেশে রফতানি করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। তার জন্য কিছুদিন আগে প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে অন্তত ৫০ জনকে। এসব কারণে ব্যাঙ্ক থেকে টাকা নিয়ে নিজেদের ব্যবসার পরিধি বৃদ্ধি করতে আগ্রহ বেশি দেখা যাচ্ছে বলে মনে করছেন রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতরের কর্তারা। আর সেই সঙ্গে সময়মতো সুদ সহ সেই ঋণ পরিশোধও করছেন তাঁরা। এটাই এই রেকর্ড গড়ার ক্ষেত্রে অন্যতম সহায়ক হয়ে উঠেছে।