দুলাল সিংহ, বালুরঘাট: শতাধিক বছর ধরে একই নিয়মে পূজিতা দক্ষিণ দিনাজপুরের ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী হিলি-র ভৈরবী কালী। দেশভাগের আগে সীমান্তের কাঁটাতার না থাকায় হিলি-র ভৈরবী কালী মাতার পুজো ছিল সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অন্যতম উদাহরণ। প্রতি বছর দীপাবলির অমাবস্যায় ভৈরবী কালীমাতার পুজোর পরের দিন মহাদেব এখানে ভৈরব রূপে পূজিত হন।
আরও পড়ুন-জেডিএ-র তৎপরতায় বড় বিপর্যয় থেকে রক্ষা জয়গাঁর
এলাকার বাসিন্দাদের বক্তব্য, ভৈরবের পুজোর কারণে এই কালী ভৈরবী কালী নামে এলাকায় পরিচিত। স্থানীয় বাসিন্দা বাবিন দাস জানিয়েছেন, এই পুজোর শুভারম্ভ লালু চট্টোপাধ্যায় চালু করলেও বর্তমানে স্থানীয় ক্লাবের তত্ত্বাবধানে একই নিয়মে বছরের পর বছর ধরে পূজিতা হয়ে আসছেন ভৈরবী কালীমাতা। তিনি জানান, পুরোনো মন্দির থাকলেও বর্তমানে নতুন মন্দিরে পূজিতা হন ভৈরবী দেবী। জানা গেছে তান্ত্রিক মতে পূজিতা হন ভৈরবী কালী, পাঁঠাবলি দেওয়ারও প্রচলন রয়েছে, পাঁঠার মাংস দিয়ে ভৈরবী কালীর ভোগ নিবেদন করা হয় পুজোর দিনে। একসময় যমুনা নদীর পাড়ে পূজিতা ভৈরবী দেবী শতাধিক বছর ধরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষদের বিশ্বাসে মাহাত্ম্যগুণে বর্তমানেও লোকমুখে জনপ্রিয়।