আলু কচু দিয়ে ট্যাংরা মাছের ঝোল, জলপথে এলাকা পরিদর্শন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

বরাবরই জনসংযোগে জোর দেন মমতা। দলীয় নেতা থেকে শুরু করে সরকারি আধিকারিক- সবাইকেই পরামর্শ দেন হেঁটে এলাকায় ঘুরতে

Must read

নেত্রী সুলভ আচরণ না করে জনসাধারণের মধ্যে মিশে যেতে পারেন নেত্রী। সুন্দরবন সফরে গিয়েও তার ব্যতিক্রম হল না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়া থেকে শুরু করে কলেজ ছাত্র- সবার সঙ্গে এদিন কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। গ্রামের বাড়ির উঠোনে বসে স্টিলের থালায় মাছ-ভাত খান মমতা। শীতলপাটিও বোনেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘরোয়া মেজাজ দেখে স্বাভাবিকভাবেই খুশির আমেজ টাকি জুড়ে (Taki)।

আরও পড়ুন-পঞ্চম ‘দুয়ারে সরকারে’র সময়সীমা বেড়ে গেল

বুধবার সুন্দরবন সফরের দ্বিতীয় দিনে প্রথমে ইছামতীতে লঞ্চে চেপে প্রত্যন্ত এলাকা পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ডিরেক্টর সিকিউরিটি পীযূষ পান্ডে, অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর মনোজ ভর্মা জেলা শাসক শরদ কুমার দ্বিবেদী, বসিরহাটের বিধায়ক সহ অনেকেই।

হাসনাবাদের খাঁপুকুর এলাকায় ঘাটে নেমে সেখানকার মানুষের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। সোজা চলে যান খাঁ পুকুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সেখানে তখন ক্লাস চলছিল। ক্লাসে ঢুকে পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলেন মমতা। তাদের নাম জানতে চান। পড়ুয়াদের হাতে তুলে দেন পোশাক। তারপর প্রগতি সংঘের মাঠে গিয়ে মহিলাদের হাতে তুলে দেন শাড়ি, চাদর ।

আরও পড়ুন-যান্ত্রিক ত্রুটি, শিয়ালদহ স্টেশনের কাছে দুর্ঘটনা এড়াল রানাঘাট লোকাল

এরপরেই খাঁপুকুরে নমিতা মণ্ডল নামে এক মহিলার বাড়িতে তিনি ঢুকে পড়েন। সেখানে তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে দুপুরের খাবার খেতে অনুরোধ করেন। সেই অনুরোধ ফেরাননি মমতা। বাড়ির উঠোনে বসে মধ্যাহ্নভোজ সারেন মুখ্যমন্ত্রী। গ্রামেরই এক বাড়ির রান্না ভাত, ওলের তরকারি, ট্যাংরা মাছের ঝোল, আলুর তরকারি স্টিলের থালায় খান মুখ্যমন্ত্রী।

আরও পড়ুন-বিশিষ্ট ঔপন্যাসিক দেবেশকান্তি চক্রবর্তী প্রয়াত

সেখান থেকে মুখ্যমন্ত্রী যান টাকি গভর্মেন্ট কলেজে। সেখানে কথা বলেন পড়ুয়াদের সঙ্গে। জানতে চান তাঁরা সরকারি পরিষেবা ঠিকমতো পাচ্ছেন কি না। এরপর সড়ক পথে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেন মুখ্যমন্ত্রী। আসার আগে জানান, গ্রামের সড়কের হাল দেখার জন্যেই গাড়িতে ফিরছেন তিনি।

আরও পড়ুন-ধোনিদের অঙ্কেই মহিলা আইপিএল

বরাবরই জনসংযোগে জোর দেন মমতা। দলীয় নেতা থেকে শুরু করে সরকারি আধিকারিক- সবাইকেই পরামর্শ দেন হেঁটে এলাকায় ঘুরতে। সাধারণ ভাবে লোকের সঙ্গে মিশে অভাব-অভিযোগ জানতে। চিরকালই পাশের বাড়ি দিদি-র ইমেজ বজায় রাখেন তৃণমূল সুপ্রিমো। ১১ বছর মুখ্যমন্ত্রী থাকার পরেও সেই মেজাজের কোনও পরিবর্তন হয়নি।

Latest article