‘ঝাড়গ্রামকে শান্ত করেছি। আগামী দিনে কেউ যেন হিংসার খেলা খেলতে না আসেন।’ বুধবারের পর ফের বৃহস্পতিবার মাওবাদী প্রসঙ্গ তুলে নিজের দলের কর্মীসহ কয়েক হাজার জনতাকে সতর্ক করলেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রাম স্টেডিয়ামে ছিল মুখ্যমন্ত্রীর দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচি। কিন্তু কর্মিসম্মেলন হলে হবে কী সভাস্থলে তিল ধারণের জায়গা নেই। কর্মীদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর কথা শুনতে হাজার হাজার মানুষের ভিড়। ভিড়ে ঠাসা সভাস্থলে মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
আরও পড়ুন-রাজ্যের দাবিতে উঠল ঊর্ধ্বসীমা পাটের দাম
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমাকে যে পাথরের জিনিসপত্র দেওয়া হয়েছে তার বাজার জানেন? বেলপাহাড়ির পাথরের থালাবাটির ভাল বাজার আছে। সাবুই ঘাস থেকে নানা ধরনের ব্যাগ তৈরি হচ্ছে। কলকাতার একটাও পুজো নেই যেখানে ধামসা-মাদল থাকে না? পুজোর সময় কলকাতার প্রতিটি ক্লাব আদিবাসী নাচের দল, গানের দল ভাড়া করে নিয়ে যায়। আমরা দেখে গর্বিত হই। মনে রাখবেন এভাবেই ঝাড়গ্রামকে শান্ত ঝাড়গ্রাম গড়ে তোলা হয়েছে। আগামী দিন কেউ যেন হিংসার খেলা খেলতে সাহায্য না করেন। যদি কেউ ভয় দেখায়? আর মাওবাদী-মাওবাদী বলে মিথ্যাকথা প্রচার করেন তাঁর বিরুদ্ধে কিন্তু পুলিশ কঠোর ব্যবস্থা নেবে। এখানে মাওবাদী নেই। যাঁরা মাওবাদী ছিল আগে তাঁরা আমাদের সঙ্গে কাজ করে। তাঁরা সাধারণ ভাবে পুলিশে যোগ দিয়েছে। প্রায় এক হাজারের ওপর ছেলে-মেয়েকে আমরা চাকরি দিয়েছি হোমগার্ডের। ৩০ হাজার আলাদা। যারা মাওবাদী করত। আত্মসমর্পণ করেছে। তাদের কথা বলছি। আরও যারা মাওবাদীদের হাতে মারা গিয়েছে তাদের ৫৫৬টি পরিবারের সদস্যদের আমরা চাকরি দিয়েছি। গতকালও আমি ৩৫ জনের হাতে চাকরির নিয়োগপত্র দিয়েছি।
আরও পড়ুন-অন্যায়ের প্রতিবাদ করে আক্রান্ত তৃণমূল নেতা
মুখ্যমন্ত্রীর সভায় এদিন উল্লেখযোগ্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, অরূপ বিশ্বাস, মানস ভুঁইয়া, শ্রীকান্ত মাহাত, বীরবাহা হাঁসদা, জোৎস্না টুডু, বিধায়ক দুলাল মুর্মু, দেবনাথ হাঁসদা, খগেন্দ্রনাথ মাহাত, ঝাড়গ্রামের প্রাক্তন সাংসদ উমা সরেন প্রমুখ।