পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দলের বিশেষ সাংগঠনিক অধিবেশন থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নির্দেশ, বীরের সম্মান দিয়ে অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) জেল থেকে বের করে আনতে হবে। বৃহস্পতিবার মমতা জানান, ‘বীরভূমের মাটি শক্ত মাটি৷ ওটা লাল মাটির রাস্তা৷ প্রতিবার ভোটের আগে কেষ্টকে নজরবন্দি করা হয়৷ কী ভাবছেন কেষ্টকে জেলে পুরে লোকসভায় আসন দখল করবেন? কুৎসা করে কোনও লাভ নেই৷ কেষ্টকে বীরের সম্মানে ফিরিয়ে আনতে তৈরি হন৷ আমার মনের জোর অনেক বেশি৷ কেষ্ট ফিরে না আসা পর্যন্ত লড়াই তিনগুণ হবে৷’
মাসখানেক আগে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ইডির হাতে গ্রেফতার হলেও মমতা তাঁর পাশে দাঁড়াননি।এমনকী পার্থকে দল থেকে বহিস্কার করে মন্ত্রিসভা থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পার্থ ও অনুব্রত মণ্ডল যে এক নয় এদিন তা ফের স্পষ্ট করে দেন মমতা। তিনি যে কেষ্টর পাশে রয়েছেন তা জানিয়ে দেন। কেষ্টকে আটকে রেখেও যে বীরভূমে দুটো লোকসভা আসন দখল করা যাবে না, তাও বুঝিয়ে দেন তৃণমূল নেত্রী। আসলে মমতা বোঝাতে চেয়েছেন তাঁর প্রিয় কেষ্টকে অনেক দিন ধরেই টার্গেট করা হয়েছিল। সেই জন্যই তাকে নির্বাচনের সময় নজরবন্দি করে রাখা হত। কিন্তু পরক্ষণেই আশ্বস্ত করেন মমতা। কেষ্টকে নজরবন্দি করলেও তাতে হাতি ঘোড়া কিছু হয়ে যায়নি। বীরভূমে তৃণমূল নিরঙ্কুশ ক্ষমতা দখল করে রেখেছে।
আরও পড়ুন: নেতাজি-মূর্তি উন্মোচনে আমন্ত্রণের প্রক্রিয়া অপমানজনক: ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী
তবে এই প্রথম নয়। এর আগেও বীরভূম জেলা সভাপতির পাশে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন ছুড়েছিলেন মমতা। ” অনুব্রতকে গ্রেফতার করলেন কেন ? কী করেছিল কেষ্ট ?” সরব হয়েছিলেন দলনেত্রী। তিনি বললেন, “অনুব্রতকে গ্রেফতার করলেন কেন ? কী করেছিল কেষ্ট ? কেষ্টকে জেলে আটকালে কী হবে ? ওদের এজেন্সির কিছু লোক রয়েছে, তাঁদের টাকা দিয়ে পোষে। মাঝরাতে কেন সিবিআই বাড়িতে ঢুকছে ? কেষ্টর বাড়িতে তাণ্ডব চালিয়েছে সিবিআই। মরে যাব, কিন্তু মাথানত করব না। আমি জানি ওদের প্ল্যান কী আছে। বলছে ববিকে গ্রেফতার কর, কেষ্টকে অ্যারেস্ট কর। কতজনকে গ্রেফতার করবে? আমি জেলভরো আন্দোলনের ডাক দেব।”