প্রথম কোয়ালিফায়ার জিতে কলকাতা নাইট রাইডার্স ফাইনালে ওঠার পরই আমার স্মৃতিতে ঘুরে ফিরে আসছিল ১২ বছর আগের সেই রাত। চিপকে সেদিন আমরা কেকেআরকে প্রথম ট্রফি দিয়েছিলাম। তাতে আমার কিছুটা হলেও অবদান ছিল। চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে শেষ ওভারে জয়ের জন্য ৯ রান দরকার ছিল আমাদের। ডোয়েন ব্র্যাভোর বলে পরপর দুটো বাউন্ডারি মেরে জয় এনে দিয়েছিলাম দলকে। তখন সিএসকে ছিল অপ্রতিরোধ্য। চাপের মুখে শেষ ওভারে ম্যাচটা জেতাতে পেরেছিলাম কলকাতার টিমকে। তাই জীবনের অন্যতম সেরা স্মৃতি হিসেবে চিরকাল রয়ে যাবে। বিশেষ করে আমি তখন নাইট রাইডার্সের ঘরের ছেলে ছিলাম বলে আরও স্পেশাল। টিম মালিক শাহরুখ খানের প্রশংসা, আদর সবই এখনও স্মৃতিতে টাটকা।
আরও পড়ুন-শীঘ্রই খুলে দেওয়া হবে জয়ন্তী মহাকাল
আবারও সেই চিপকে আইপিএল ফাইনাল খেলবে কেকেআর। তবে এবার সামনে সিএসকে থাকবে না। রাজস্থান বা হায়দরাবাদের মধ্যে একটা দল থাকবে। কেকেআর যে ফর্মে রয়েছে তাতে ওদেরই ট্রফি জেতা উচিত। ফাইনালে অ্যাডভান্টেজ কেকেআর। আশা করি, দীর্ঘ ১০ বছরের ট্রফির খরা কাটবে।
এবার সম্পূর্ণ বদলে যাওয়া একটা দল। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং— সব বিভাগেই ভারসাম্য রয়েছে। সবাই অবদান রাখছে বলেই কেকেআর-কে অপ্রতিরোধ্য মনে হচ্ছে। মাঝের ওভারে দুই মিস্ট্রি স্পিনার সুনীল নারিন, বরুণ চক্রবর্তী ব্যাটারদের বড় শট খেলতে দিচ্ছে না। মিচেল স্টার্ক, হর্ষিত রানা বা বৈভব অরোরা শুরুর পাওয়ার প্লে-তে উইকেট তুলছে। এই বছর নারিনকে ওপেনিংয়ে তুলে যেভাবে ওকে খোলা মনে ব্যাট করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে এবং মিডল অর্ডারেও প্রত্যেক ব্যাটার নিশ্চিন্তে খেলতে পারছে, তাতে নাইট ম্যানেজমেন্টকে কৃতিত্ব দিতেই হবে।
আরও পড়ুন-বিজয়োৎসবে মাতলেন উঃ মালদহের প্রার্থী-সহ তৃণমূল কর্মীরা
কেকেআরের বদলে যাওয়ার পিছনে শুধু মেন্টর গৌতম গম্ভীরকে কৃতিত্ব দিতে রাজি নই। একটা দলের সাফল্যের পিছনে সবার অবদান থাকে। কোচ, সহকারী কোচ, বোলিং, ব্যাটিং কোচ, ফিজিও, ট্রেনার— সবারই কম বেশি অবদান থাকে। আমি মনে করি, কেকেআরে শাহরুখের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমিও কিং খানের কথায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দিল্লির বিরুদ্ধে একটা ম্যাচে ৬৫ রান করেছিলাম। কেকেআরও ম্যাচটা জিতেছিল।