সুস্মিতা মণ্ডল, গঙ্গাসাগর : সুন্দরবনের জন্য মাস্টার প্ল্যান তৈরি করতে চলেছে সরকার। সুন্দরবন উন্নয়ন, পর্যটন, সেচ, পঞ্চায়েত ও জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের সচিব ও আধিকারিকরা পর্যালোচনা করে মাস্টার প্ল্যান তৈরি করবেন। এই মাস্টার প্ল্যান কেন্দ্রের কাছে পেশ করা হবে। বারেবারে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিধ্বস্ত সুন্দরবনের উন্নয়নে জোর দিতে চাইছে সরকার। পরিকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি বিকল্প কর্মসংস্থানের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। পর্যটনের ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হবে। তৈরি করা হবে তথ্যপ্রযুক্তি হাব। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ১৩টি ব্লক সুন্দরবনের মধ্যে পড়ে। ঘূর্ণিঝড় আমফান, ইয়াস, বুলবুল, জাওয়াদের প্রভাবে বিধ্বস্ত সুন্দরবন। নদী ও সমুদ্র বাঁধের ব্যাপক ক্ষতি হয়। নোনা জলে প্লাবিত হওয়ার ফলে চাষবাসও ঠিকমতো হয় না। এদিন গোসাবার বিধায়ক সুব্রত মণ্ডল, পাথর প্রতিমার বিধায়ক সমীর জানা, কুলতলির বিধায়ক গণেশ মণ্ডল নদী ও সমুদ্রের স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের আবেদন জানান। সংযোগকারী সেতু তৈরিরও আর্জি জানান বিধায়করা। পাশাপাশি পর্যটন শিল্পকে ঢেলে সাজানোর আর্জি জানান। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (Chief Minister Mamata Banerjee) বলেন, ‘বারেবারে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জেরে সুন্দরবন বিধ্বস্ত। কিন্তু প্রশাসন দ্রুততার সঙ্গে মেরামত করে। আমরা চাই স্থায়ী সমাধান। এ-জন্য সুন্দরবন মাস্টার প্ল্যান তৈরি করা হচ্ছে। বিভিন্ন দপ্তর পর্যালোচনা করে এই মাস্টার প্ল্যান তৈরি করছে। এখানে পর্যটনের সম্ভাবনা আছে। পর্যটনকেন্দ্রগুলিকে সাজিয়ে তোলা হবে। কাকদ্বীপে মৎস্য হাব গড়ে তোলা হবে। মৎস্যজীবী ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে মৎস্যজীবীদের পাশে আছে সরকার। সুন্দরবনের ছেলে-মেয়েরা পড়াশোনায় খুব ভাল। এখানে তথ্য-প্রযুক্তি হাব গড়ে তোলা যায় কি না তা আধিকারিকরা দেখছেন।